স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পিচের উপর শাস্তির খড়গ আসছে, সেটা অনুমেয়ই ছিল। কারণ এখানে অত্যাধিক কম রান হয়েছে। ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে গিয়ে, পুরোপুরি স্পিন নির্ভর বানিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আর সেই শাস্তির খড়গটা এবার পড়ল হোম অব ক্রিকেটে। ইন্ট্যারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এই পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। একইসাথে ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের পাঠানো রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয়েছে এই ডিমেরিট পয়েন্ট। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেই নির্দিষ্টসংখ্যক ম্যাচ আয়োজনের ক্ষমতা হারাবে মিরপুর।
রিপোর্ট পাঠানোর আগে দুই দলের অধিনায়ক এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের সাথে কথাও বলেছেন ডেভিড বুন। তিনি ম্যাচ রিপোর্টে, মিরপুরের আউটফিল্ডকে ভালো বললেও, উইকেটকে ‘আন্ডার প্রিপেয়ার্ড’ অর্থাৎ, পিচ প্রস্তুত নয় বলেছেন। উইকেট শক্ত ছিল না। স্পিনারদের ডেলিভারিতেও কখনো অস্বাভাবিক বাউন্স আবার কখনো একেবারে নিচু হয়ে বল গিয়েছে বলে জানিয়েছেন। বাউন্সের অস্বাভাবিক হেরফের উল্লেখ ছিল ম্যাচ রিপোর্টে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চাইলে বিসিবি আপিল করতে পারবে। তবে এর জন্য ১৪ দিনের মধ্যেই আপিল করতে হবে। এর আগে অতীতেও মিরপুরের পিচ ডিমেরিট পেয়েছিল।
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ফলাফল এসেছে চতুর্থ দিনে। তবে ভালো করে দুই দিনও খেলা হয়নি। ১৭৮.১ ওভার মাত্র খেলা হয়েছে। প্রতিদিন ৯০ ওভার হিসেব করলে, দুই দিনে ১৮০ ওভার খেলার কথা ছিল। সেটা হয়নি। মূলত আলোক স্বল্পতা আর বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিন পর্যন্ত মাঠে গড়ায় খেলা।
মিরপুরের ইতিহাসে টেস্ট ক্রিকেটে ফলাফল হওয়া ম্যাচের মধ্যে সর্বনিম্ন ওভার খেলা হয়েছে এই ম্যাচে। ম্যাচের ৩৬টি উইকেটের মধ্যে ৩০টি উইকেটই শিকার করেছেন স্পিনাররা। শুধুমাত্র প্রথম দিনেই ১৫ উইকেটের পতন ঘটেছে। এর মধ্যে ১৩টি শিকার করেন স্পিনাররা।
ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি তো স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, তার ক্যারিয়ারের খেলা সম্ভবত সবচেয়ে বাজে উইকেট এটি। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছিলেন, ঘরের মাঠে সুবিধা নেওয়া উচিত।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post