স্পোর্টস ডেস্কঃ আরও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের প্রতিপক্ষ জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দুই দল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত একটায়। ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ফাইনালের আগে শক্তিমত্তার বিচারে ঢের এগিয়ে রিয়াল। অর্থাৎ রিয়ালের ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন অনেকে। তবে ছেড়ে কথা বলবে না ডর্টমুন্ডও।
ফাইনালের আগে রিয়ালকে হুমকি দিয়ে রাখলেন ডর্টমুন্ডের কোচ এদিন তেরজিচ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়াই করে আমরা প্রস্তুত। রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ১০ বার খেললে কাজটা কঠিন। ৩৪ বার খেললে কাজটা অসম্ভব। তবে এটাকে যদি এক ম্যাচে ভাগ করে আনেন, তাহলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। এটা পরিষ্কার যে তারা ফেভারিটের ভূমিকায় থাকবে। তবে আমরা পরোয়া করি না। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ বা পিএসজির বিপক্ষেও আমরা ফেভারিট ছিলাম না। ফাইনাল কেউ স্রেফ খেলার জন্য খেলে না, ফাইনাল জিততে হয় এবং সেটিই আমাদের পরিষ্কার লক্ষ্য। আমরা এখানে রেয়ালের ট্রফি জয় তেখতে আসিনি। যথেষ্ট সাহসী হতে পারলে আমাদেরও সুযোগ আছে।’
ইউরোপ সেরার মঞ্চে সর্বোচ্চ ১৪ বারের শিরোপা জয়ী রিয়াল। অন্যদিকে ডর্টমুন্ড এখন পর্যন্ত একবারই এই শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে, ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে রিয়াল। ১৪ বারের দেখায় তাদের জয় ৬ ম্যাচে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের পর পিএসজি, এসি মিলান, নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও ডর্টমুন্ডের গ্রুপটাকে বলা হয়েছিল ‘মৃত্যুকূপ।’ প্রথম ম্যাচেই জার্মানির দলটি ২-০ গোলে হেরে বসে পিএসজির বিপক্ষে।
সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে গ্রুপের বাকি পাঁচ ম্যাচেই অপরাজিত (৩ জয়, ২ ড্র) থেকে অবিশ্বাস্যভাবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে নাম লেখায় ডর্টমুন্ড। শেষ ষোলোয় পিএসভি আইন্দহোভেন, কোয়ার্টার-ফাইনালে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বাধা টপকে সেমি-ফাইনালে উঠে আরেক বিস্ময় উপহার দেয় তারা। শেষ চারে পিএসজিকে দুই লেগেই হারিয়ে দেয় ১-০ গোলে। প্রথম ম্যাচের পর আসরে আর কেবল একবার হেরেছে তারা। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচের সবগুলো জয়ের পর নকআউটে ৬ ম্যাচে অপরাজিত রিয়াল।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post