স্পোর্টস ডেস্কঃ রাজনৈতিক কারণে অস্থিরতা আফগানিস্তান জুড়ে। যেখানে জীবনের অনিশ্চয়তা প্রতিটা মূহুর্তে, সেই দেশে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেওয়ার মতো একমাত্র উপাদান ক্রিকেট। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবিরা সাফল্য এনে দিয়ে গোটা দেশকেই আনন্দে ভাসান। তবে দেশটিতে নারী ক্রিকেটের প্রচলন নেই। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারীদের জন্য প্রায় সব কাজই নিষিদ্ধ করেছে। যেখানে আছে ক্রিকেটও।
আফগানিস্তানে তাই নারী ক্রিকেট নিষিদ্ধ একেবারেই। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের মধ্যে একমাত্র আফগানিস্তানের নারী দল নেই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন আফগান নারী ক্রিকেটাররা। ক্ষমতার পালাবদলের আগে তারা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ছিলেন। তবে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগান নারী ক্রিকেটাররা পালিয়ে যান দেশ থেকে। যাদের বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানকার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন।
নিজ দেশের নামে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ নেই আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেটারদের। যার জন্য শরণার্থী একটি দল গঠন করে খেলতে চাওয়ার আকুতি নিয়ে আইসিসিকে চিঠি দিয়েছেন সেই ক্রিকেটাররা। যেখানে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে খেলায় রশিদ খানদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা। একইসাথে জানান, সুযোগ পেলে তারাও আলো ছড়াতে পারবেন এভাবে।
সেই চিঠিতে আফগান নারী ক্রিকেটাররা বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের চুক্তিভুক্ত নারী ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ওঠায় রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন পুরুষ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা তাদের অর্জনে গর্বিত। তবে দুঃখ এটিই যে, আমরা নারী ক্রিকেটার হওয়াতে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারছি না।
‘আমরা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিকে, অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের একটি শরণার্থী ক্রিকেট দল গঠনের অনুরোধ জানাচ্ছি। যে দলটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইস্ট এশিয়ান ক্রিকেট কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই দলটির মাধ্যমে আমরা পুরুষ ক্রিকেটারদের মতোই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের সকল নারীদের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। যেটি আমরা দেশে থেকে করতে পারছি না।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post