স্পোর্টস ডেস্ক:: দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে সংযুক্ত আরব-আমিরাত। তবে দুই ম্যাচেই যে ভাবে খেলেছে স্বাগতিকরা, তাতে নিজেদের সমর্থকদের মন করে জয় নিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছে তারা।
নিশ্চিত হার জেনেও শেষ ওভারেও রান তোলার নিবেদন ছিলো আরব-আমিরাতের খেলোয়াড়দের। ১৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নামা স্বাগতিকরা অধিনায়কের হাফ সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে থেমেছে ১৩৭ রানে। সফরকারী বাংলাদেশের বোলাররা অলআউট করতে পারেননি স্বাগতিকদের। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে সোহানের দল।
দলীয় মাত্র ৯ রানের মাথায় সুরিকে হারায় আরব-আমিরাত। ১৩বলে ৬ রান করা এই ব্যাটারকে নিজের বলে নিচেই ক্যাচ নিয়ে সাজঘরে পাঠান নাসুম। ষষ্ট ওভারের তৃতীয় বলে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তাসকিন। দলীয় ২৭ রানের মাথায় দারুণ শুরু করা ওপেনার ওয়াসিমকে হারায় স্বাগতিকরা। দুই ছয়ে ১৬ বলে ১৮ রান করেন এই ওপেনার।
তাসকিনের ওভারের পরপরই বোলিংয়ে আসেন সৈকত। দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর হ্যাটট্রিক হয়নি। ইনিংসের সপ্তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দলীয় ২৯ রানের মাথায় পরপর দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৯ বলে ৪ রান করা আরিয়ান সাজঘরে পাঠানোর পরের বলেই ৫ বলে ২ রান করা অরবিন্দকে প্যাভেলিয়েন ফেরত পাঠান সৈকত। ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে বিশাল হামিদের বিদায়ে পঞ্চম উইকেট হারায় দলটি। চার চারে ৪০ বলে ৪২ রান করেন এই ব্যাটার।
তবে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক অধিনায়ক রিজওয়ান হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন। দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩৬ বলে ৫১ রান করেন তিনি। ৮ রানে অপরাজিত থাকেন ফরিদ।
বাংলাদেশের হয়ে মোসাদ্দেক ২টি, ইবাদত, নাসুম ও তাসকিন ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ইনিংস উদ্বোধনে পাঠায় সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আরিয়ান লারকারের শিকারে মাত্র ১২ রানে সাজঘরে ফিরেন সাব্বির রহমান।
এই ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়ে ছিলেন মিরাজ ও লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রান যোগ করেন তারা। ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটনের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৫ রানে তিনি ফিরেন সাজঘরে। ২০ বলের ইনিংসে তিনি চারটি বাউন্ডারি হাঁকান।
তৃতীয় উইকেটে আফিফ খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি মিরাজকে। আগের ম্যাচের ম্যাচ সেরা এই তরুণ ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরেন সাজঘরে। দলীয় ৯০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৮ রানে প্যাভেলিয়েন ফেরেন তিনি। ১০ বলের ঝড়ো ইনিংসে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান।
আফিফের বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরেন সাজঘরে। তবে তার দল আগেই দল পেরিয়ে যায় শতরানের স্কোর। ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১২২ রানের মাথা চতুর্থ উইকেট হারায় টাইগাররা। ফিরে যান ওপেনার মিরাজ। পাঁচ চারে ৩৭ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বলে প্যাভেলিয়নে ফিরেন মোসাদ্দেকও। দলীয় ১৩৭ রানে পঞ্চম উইকেটে ব্যক্তিগত ২৭ রানে সাজঘরে ফিরেন তিনি। তার ২২ বলের ইনিংসে দু’টি চার ও একটি ছক্কার মারছিলো।
ষষ্ট উইকেটে ৩২ রান যোগ করে অপরাজিত থাকেন সোহান ও ইয়াসির। এক চার ও এক ছয়ে ১৩ বলে ২১ রানে ইয়াসির, এক চার ও এক ছয়ে ১০ বলে ১৯ রানে অধিনায়ক সোহান অপরাজিত থাকেন।
সংযুক্ত আরব-আমিরাতের হয়ে আফজাল খান, আরিয়ান-সাব্বির আলীরা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০