স্পোর্টস ডেস্ক:: দারুণ শুরু ছিলো। শুরুতেই দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা জিম্বাবুয়েকের আটকে দেয়া বাংলাদেশ দলীয় হাফ সেঞ্চুরি পেরুতেই তুলে নেয় অর্ধেক উইকেট। ৫ উইকেটে ৫৫ রান থেকে ইনিংস শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৫৬ রান।
সপ্তম উইকেটে রায়ান বার্ল ও লুক জঙ্গের ‘বিস্ফোরক’ জুটিতে বাংলাদেশ যেনো এলেমেলো। নাসুমকে পিটিয়ে এক ওভারে ৩৪ রান আদায় করে নেন বার্ল। তাতেই চ্যালেঞ্জিংপূঁজি পেয়ে যায় দলটি। মাত্র ৩১ চলে ৭৯ রান তুলা জুটিতেই বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে।
নাসুমের শিকারে শুরু। এরপর মেহদী হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শিকারে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ক্রেইন আরভিনের দল। প্রথম দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা জিম্বাবুয়ের ব্যাটার পথের কাটা সিকান্দর রাজাকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন মেহদী। পরপর দুই বলে দুই ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান এই স্পিনার। এরপরই অধিনায়ক সৈকত উইকেট শিকারে নাম লেখান। পরের ওভারেই মাহমুদউল্লার শিকারে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা। যদিও সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা তারা সপ্তম উইকেটে রায়ার্ন-জঙ্গের জুটিতে।
ব্যাট করেত নামা জিম্বাবুয়ে দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টা করছিলো। তিন ওভার শেষেই দলটি ২৯ রান তুলে ফেলে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই অধিনায়ক সৈকত নাসুমকে নিয়ে আসেন আক্রমণে। নাসুম ব্যক্তিগত প্রথম ওভারের প্রথম বলে, ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই স্বাগতিক ওপেনার চাকাভাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান। দুই চার ও এক ছয়ে ১০ বলে ১৭ রান করেন এই ওপেনার।
নাসুমের পর মেহদী হাসান ইনিংসের ষষ্ট ওভারে জোড়া আঘাত করেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়েসলে মাধেভেরে ও তৃতীয় বলে সিকান্দর রাজাকে সাজঘরে পাঠান তিনি। দলীয় ৪৫ রানেই দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। রানের খাতা খুলার আগেই রাজা ও ৫ রানে মাধেভেরেকে সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিয়ে আসেন মেহদী।
মেহদীর পরপরই উইকেটে আঘাত হানেন সৈকত। ইনিংসের নবম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৫৪ রানের মাথায় শেন উইলিয়ামসনকে তিনি সাজঘরে পাঠান। ২ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর দশম ওভারে রিয়াদ তুলে নেন ক্রেইক আরভীনকে। ২৪ রান করা স্বাগতিক অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
১৩তম ওভারের শেষ বলে মিল্টন শুম্বাকে দলীয় ৬৭ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে চার রান করে এই ব্যাটারে। পরের গল্পটা জিম্বাবুয়ের। সপ্তম উইকেটে রায়ান-জুঙ্গে ৭৯ রান তুলে দলের স্কোরকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেন। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৪৬ রানের মাথায় লুক জঙ্গেকে সাজঘরে পাঠান হাসান মাহমুদ। চার চার ও দুই ছয়ে ২০ বলে ৩৫ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর হাফ সেঞ্চুরিয়ান রায়ান বার্লকে থামান হাসান মাহমুদ। কিন্তুু ততোক্ষণে মূল কাজটা সেরেছেন এই ব্যাটার। ছয়টি ছক্কা আর দুটি চারে ২৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। নাসুমকে এক ওভারেই হাঁকান ৫টি ছক্কা ও একটি চার। ব্র্যাড ইভান্স ৫ রানে ও ভিক্টর নিয়াউচি ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ও মেহদী হাসান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
জয়ের জন্য ১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করবে বাংলাদেশ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০