স্পোর্টস ডেস্কঃ ৪ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে। এবার আর মাত্র ১০০ দিনের অপেক্ষা। এরপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে পুরো বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রীড়া আয়োজন ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের আসর আয়োজিত হবে কাতারে। ইতিমধ্যেই ফুটবল ফ্যানদের মাঝে উন্মাদনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার সেই পালা আরও হাওয়া লাগলো।
নানা কারণে আলোচিত হতে যাচ্ছে এবারের আসরটি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে আসর। সেই আসরকে ঘিরে সকল ধরনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে আয়োজক কাতার। বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা আসর আয়োজিত হতে যাচ্ছে এবার।
৩২ দলের সেই বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র ১০০ দিন। চলতি বছরের আগামী ২০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক পর্দা ওঠবে টুর্নামেন্টের। ২৯ দিন ব্যাপী চলা আসরের পর্দা নামবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।
যদিও একদিন আগে যেটা ছিল ২৮ দিন ব্যাপী আসর। এছাড়া শুক্রবারের হিসেব ধরলে বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি ছিল ১০১ দিন। কেননা ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপ। তবে সেটা আয়োজক দেশ কাতারের জন্য এগিয়ে আনা হয়েছে ১দিন। আর সেই সিদ্ধান্তটা ফিফা জানিয়েছে শুক্রবারই।
মূলত ২১ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনেই ৪টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। ‘এ’ গ্রুপের সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল আসর। যদিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল দুটি ম্যাচ মাঠে গড়িয়ে যাওয়ার পর।
সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস ছাড়াও ও ইংল্যান্ড-ইরানের ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর স্বাগতিক কাতারের মাঠে নামার কথা ছিল ইকুয়েডরের বিপক্ষে। পরবর্তীতে দিনের শেষ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলসের মধ্যকার।
কিন্তু এই নিয়ে আয়োজক দেশ কাতারের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। কেননা বিশ্বকাপের প্রথা অনুযায়ী সবসময় স্বাগতিক দেশ কিংবা গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন মাঠে নামে একেবারে প্রথম ম্যাচে। কিন্তু স্বাগতিক কাতারের ম্যাচ ছিল দিনের তৃতীয় ম্যাচ হিসেবে। এর বাইরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়ে পড়ে দুটি ম্যাচ মাঠে গড়ানোর পর।
আর তাই শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত সরিয়ে নিয়েছে ফিফা। ২১ নভেম্বরের পরিবর্তে ২০ নভেম্বর শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। এদিন নিয়ে আসা হয়েছে কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচটি। যেটি কিনা ২১ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল। তবে এবার ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
আর ম্যাচ শুরুর আগে কাতারের দৃষ্টিনন্দন আল বাইত স্টেডিয়ামে আয়োজন করা উদ্বোধনী অনুষ্টানের। যার ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার দর্শক। এর ফলে আর প্রথা ভাঙা হলো না। আয়োজক দেশের ম্যাচ দিয়েই পর্দা ওঠছে আসরের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা