স্পোর্টস ডেস্ক:: টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছিলো। অর্ধেক ওভার পেরুতেই হারিয়ে ফেলে অর্ধেক উইকেট। অর্ধশত রানের আগেই চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেট হারায় ৭৭ রানে। চারে নামা আফিফ তখন এক প্রান্ত আগলে রাখার লড়াইয়ে।
পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর অধিনায়ক সােহানাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তরুণ আফিফ। দু’জনের জুটিতেই মান রক্ষা হয় বাংলাদেশের। অলআউটের লজ্জা উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পূঁজি।
বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ওপেনার সাব্বির রহমান রানের খাতা খুলার আগেই ফিরেন সাজ ঘরে। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই দলীয় ১১ রানের মাথায় সাব্বির রহমান শুন্য রানে ফিরেন সাজঘরে। তাদের বিদায়ের পর তিনে নামা লিটন দাসও বেশি দূর যেতে পারেননি।
তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ২৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। তিন চারে ৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তার দেখানো পথেই হাটেন ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ দলে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় তৃতিয় উইকেট হারায় টাইগাররা। এবার সাজঘরে ফিরেন ১২ বলে ১৪ রান করা মিরাজ।
দ্রুত তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ অর্ধশতের ঘরে পৌছার আগেই হারায় চতুর্থ উইকেট। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন ইয়াসির আলী। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা এই ব্যাটার ৭ বলে মাত্র ৪ রান করেন। ১১তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৭৭ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় টাইগাররা। ৮ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন।
শঙ্কা উড়িয়ে পরের গল্পটা কেবল আফিফ আর সোহানের। ষষ্ট উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে যোগ করেন ৮১ রান। সাত চার ও তিন ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৭ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আফিস। অধিনায়কোচিত ইনিংসে সোহান দু’টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ বলে ৩৫ রানে থাকেন অপরাজিত।
সংযুক্ত আরব-আমিরাতের হয়ে কার্তিক ২টি উইকেট লাভ করেন।
১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করবে স্বাগতিকরা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০