স্পোর্টস ডেস্ক:: সুপার সিক্সটিনে যাওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো ইরান। আমেরিকাকে হারাতে হতো না, ম্যাচটি ‘ড্র’ করলেই শেষ ষেলোর লড়াইয়ে যেতে পারতো তারা। কিন্তুু পারলো না। কিছুটা ভাগ্যের কাছেও হারতে হলো তাদেরকে। ম্যাচের একদম অন্তিম সময়ে গিয়েও সুযোগ মিস করেছে দলটি। ১-০ গোলের হারে তাই কেঁদেই মাঠ ছাড়তে হলো তাদেরকে।
প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ইরান গোল খেয়ে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে। এরপরই দারুণ খেলতে থাকে দলটি। একের পর এক আক্রমণে আমেরিকাকে কাঁপিয়েও দেয় তারা। ম্যাচের যোগ করা সময়েও গোলের সহজ সুযোগ মিস করে তারা। যদিও ফাউলে আবেদন করেছিলো বিপদজনক সীমানায়। তবে রেফারিতে তাতে কর্ণপাত করেননি।
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকার ‘ একমাত্র গোলেই কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলবে আমেরিকা। পুলসিকের করা গোলেই ইরানের বিপক্ষে অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছে দলটি। ম্যাচের অন্তিম সময়েও গোলের সুযোগ মিস করেছে ইরানিরা। ‘বি’ গ্রুপ থেকে ইংল্যান্ডের সঙ্গী হলো তারা।
বিশ্বকাপের সুপার সিক্সটিনে খেলতে হলে ইরানের বিপক্ষে জিততেই হবে আমেরিকাকে। ম্যাচের শুরু থেকেই তাই আক্রমণাত্মক যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে রাখে ইরানকে। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ছন্দে ফিরে ইরান।
প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন ইরানের খেলোয়াড়েরা। প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় তারা সফলও হন। তবে একদম শেষ দিকে গিয়ে গোল হজম করে বসে দলটি। বিরতির আগেই তাই লিড নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে পুলিসিকের গোলে লিড নেয় যুক্তরাষ্ট্রের। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গেছে দলটি। ম্যাচের শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে ইরানের বিপক্ষে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে দলটি। নিজেদের রক্ষণ সামলাতে রীতিমতো ঘাম ঝড়ছে ইরানিদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইরান নিজেদের রক্ষণ সামলিয়ে আক্রমণে উঠে। বেশ কয়েকটি আক্রমণও করে দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে হারতেই হলো। ‘ড্র’ করে সুপার সিক্সটিনে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও ১-০ গোলের হারে কাতার থেকে বিদায় নিতে হলো তাদেরকে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০00