নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বয়সের কোটা উনচল্লিশ পেরিয়ে চল্লিশ ছুঁই ছুঁই করছে। জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন চার বছর আগে। টেস্টে খেলেন না। ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর থেকে দলেও নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটেও খুব বেশি খেলেন না। ডিপিএল এবং বিপিএলেই দেখা যায়।
এবারের বিপিএলে খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে। দলটির অধিনায়কত্ব করছেন, এছাড়া সবকিছুই দেখভাল করছেন। দল তো সাফল্য পাচ্ছেই, ব্যক্তিগতভাবেও দারুণ ফর্মে রয়েছে। বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ উইকেট নিয়ে আসরে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মাশরাফী। দারুণ বোলিং করছেন, ইকোনোমি রেট মাত্র ৬.৭৫।
এই পারফম্যান্সই বলে দিচ্ছে ম্যাশ এখনও ফুরিয়ে যাননি। অনেক তরুণ ও জাতীয় দলের বোলাররাও পাত্তা পাচ্ছেন না এই তারকার সামনে। মাশরাফীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি জানিয়েছেন, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা সবসময় কিংবদন্তির মতোই চলেন। তরুণদের অনেক কিছু শেখার আছে ম্যাশের কাছ থেকে।
নান্নু বলেন, ‘কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা তো সবসময় কিংবদন্তির মতোই চলে। তরুণদের জন্য মাশরাফীর কাছ থেকে শেখার আছে। কীভাবে এই বয়সে পারফর্ম করতে হয়, ফিটনেস ধরে রাখতে হয়। তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।’
মাশরাফী দারুণ ফর্মে আছেন। এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেননি। মাশরাফীকে আবারও সুযোগ দেওয়া হবে কিনা, এবং মাঠ থেকেই অবসরের প্রস্তাব দেওয়া হবে কিনা, এই ব্যাপারেও কথা বলেন নির্বাচকরা। নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক এই প্রসঙ্গ পুরোটাই বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিয়েছেন।
রাজ্জাক বলেন, ‘এটা পুরোপুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এসব বিশেষ সিদ্ধান্ত। যদি বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় এই ব্যাপারে, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা চাই খেলোয়াড়রা যেন মাঠ থেকে বিদায় নিক। দেখতেও ভালো লাগবে, মানুষও খুশি হবে। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সম্মান করব। শুধু মাশরাফীর ক্ষেত্রে নয়, সবাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যারা শেষের দিকে, সবার ক্ষেত্রেই এমন হলে ভালো। খেলোয়াড়দেরও একটা স্মৃতি থাকবে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা