নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট বিভাগের চার জেলার দুই জেলাতেই দীর্ঘ দিন থেকে কোচ নেই। মৌলভীবাজার জেলা কোচ রাসেল আহমদ প্রবাসী হওয়ার পর থেকেই কোচ শুন্য জেলা। এই জেলাতে নেই লেভেল-১ করা কোনো কোচ। বিসিবিও দীর্ঘ দিন থেকে জেলাটিতে কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি।
সুনামগঞ্জের জেলা কোচ পাভেল আহমদ প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই জেলাটিতেও কোচের পদ শুন্য। লেভেল-১ করা একজন কোচ থাকলেও তার নিয়োগ হয়নি। কোচ না থাকায় দীর্ঘ দিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন এই দুই জেলার ক্রিকেটাররা। বিভাগে খুব বেশি কোচও নেই বিসিবির কোচিং কোর্সে পাস করা। ফলে সিলেটের কাউন্সিলর দায়িত্ব নেওয়ার পরই নতুন কোচ তৈরির উদ্যোগ নেন। আয়োজন করা হয় কোচিং কোর্সের।
সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায়, বিসিবির গেইম ডেভেলপমেন্ট কমিটির তত্ত্বাবধানে ৩২জন কোচকে নিয়ে কোচিং কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে বুধবার থেকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের কোর্সে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির কোচ মিজানুর রহমান বাবুল, তালহা জুবায়ের ও সোহেল ইসলাম। প্রশিক্ষণের বাকী দিনগুলোতেও ঢাকা থেকে বিসিবির বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকরা আসবেন।
সিলেটে তিন দিন ব্যাপী এই কোর্স আয়োজন হয়েছে। দায়িত্ব নিয়েই বিসিবির পরিচালক রাহাত শামস নতুন কোচ তৈরির উদোগ নেন। সাবেক এই ক্রিকেটারের লক্ষ্য কোচদের মানউন্নয়ন করা এবং নতুন কোচ তৈরি করে ক্রিকেট সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। জানতে চাইলে বোর্ড পরিচালক, সাবেক ক্রিকেটার রাহাত শামস এসএনপিস্পোর্টসকে বলেন, ‘এটি শুধু একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নয়, বরং সিলেটের ক্রিকেট উন্নয়নের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ক্রিকেটাররা হলো খেলার প্রাণ, কিন্তু কোচরাই হলো ক্রিকেটের আত্মা। ভালো কোচ ছাড়া প্রতিভা বিকশিত হয় না, আর সঠিক দিকনির্দেশনা ছাড়া আগ্রহও হারিয়ে যায়। তাই এই কোর্সটির গুরুত্ব অপরিসীম—এখান থেকেই তৈরি হবে আমাদের ভবিষ্যতের ক্রিকেট পরামর্শক ও দিকনির্দেশকরা।
প্রশিক্ষিত কোচদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। তারা উপজেলা পর্যায় থেকে সব জায়গায় ক্রিকেট ছড়িয়ে দেবেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন,’ প্রায় দুই দশক পর সিলেটে এই ধরণের একটি সার্টিফাইড কোচিং কোর্স আয়োজন করা হয়েছে যা একটি বড় সাফল্য, যার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণের প্রচেষ্টা এগিয়ে যাবে। কোর্স থেকে শেখা বিষয়গুলো স্কুল, কলেজ, একাডেমি, ক্লাব বা উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে সার্টিফাইড কোচরা কাজ করবে।’
কোচিং কোর্স হয়েছে। এবার আম্পায়ারিং কোর্সের আয়োজন হবে। বিসিবির সিলেট জেলার কাউন্সিলর সৈয়দ ফজলে এলাহী অভী জানিয়েছেন ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে। ক্রিকেটের উন্নয়নে আম্পায়ারিং কোর্স আয়োজনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিলেটে দীর্ঘ দিন পরে এ লেভেল কোচিং কোর্স হয়েছে। পরবর্তীতে আবারো হবে। আম্পায়ার্স ট্রেনিং কোর্স দ্রুত হবে।নতুন আম্পায়ার আমরা পাব। আমাদের লক্ষ্য জাতীয় পর্যায়ে আম্পায়ারিংয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। তারা যেনো একদিন বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করেন বিশ্ব দরবারে। বর্তমানে যারা আছেন এই সংখ্যা অপ্রতুল। এই সংখ্যা বাড়ালে আম্পায়ারদের মানও বাড়বে। পরিধি বৃদ্ধি পাবে। আমরা কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত করতে চাই। বাংলাদেশ সম্ভাবনার দেশ। যদি প্রত্যেক জেলা থেকে আম্পায়ার নিয়ে পুশ করা হয়, জেলা, বিভাগ লিগে ভালো করা আম্পায়াররা জাতীয় লিগে ভালো করে জাতীয় পর্যায়ে কাজ করেন তাদের মান বাড়বে। তাদেরকে নার্সিং করলে এক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি হবে। জেলার কাউন্সিলর হিসেবে বিসিবির প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলবো। কোচিং কোর্স হয়েছে, আমরা দ্রুতই আম্পায়ারিং কোর্স আয়োজন করতে চাই।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
 
			 
                                































