স্পোর্টস ডেস্ক:: স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলররা। টাইগারদের ২৪৭ রানে অলআউট করে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা লাঞ্চ বিরতিতে পর্যন্ত কোনো উইকেট হারায়নি। লাঞ্চের পরই বাংলাদেশ পেয়েছে প্রথম উইকেট। রিভিউ গিয়ে সাফল্যের দেখা পেয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের বোলারদের হতাশার এক সেশন উপহার দেন লঙ্কান দুই ওপেনার। কোনো উইকেট না হারিয়ে ২১ ওভারে ৮৩ রান তুলে সকালের সেশন শেষ করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে লাহিরু উনাদাকে ফিরিয়েছেন তাইজুল। ইনিংসের ২৪তম ওভারের তৃতীয় বলটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি উদানা। আঘাত হানে তার প্যাডে। বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি মাঠের আম্পায়ার। রিভিউ নেন শান্ত। এরপরই মিলে সাফল্য। দলীয় ৮৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এই ওপেনার চার বাউন্ডারিতে ৬৫ বলে ৪০ রান করেছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ২৫.১ ওভারে এক উইকেটে ৯৫ রান। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। ৫০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ৪ রানে ব্যাট করছেন দিনেশ চান্দিমাল।
এর আগে কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালেই বাংলাদেশকে অলআউট করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আগের দিনের ২২০ রানের সাথে আজ আরো ২৭ রান তুলতেই বাংলাদেশ ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। এরপরই নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা। দারুণ শুরু করেছে স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা করা হতাশা দিয়ে। দীর্ঘ দিন পর দলে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফিরেন প্যাভেলিয়নে। দলীয় ৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায়। দলীয় অর্ধশতকের আগে টাইগাররা হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৪৩ রানে সাজঘরে ফিরেন মুমিনুল হক। তিন চারে ৩৯ বলে ২১ রান করেন তিনে নামা এই ব্যাটার।
এরপরই বাংলাদেশ হারায় প্রথম টেস্টেে দুই সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক লিটন দাসের উইকেট। ২৮তম ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফিরেন শান্ত। ৩১ বলে ৮ রান করেনেছেন টাইগার অধিনায়ক। পরের ওভারেই বিদায় নেন সাদমান। ২৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৭৬ রানে চতুর্থ উইকেটে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরেন টাইগার ওপেনার। দ্রুত চার উইকেটের পর পঞ্চম উইকেটে মুশফিক ও লিটন ৬৭ রানের জুটি। চার বিরতির আগে ৪৮তম ওভারের পঞ্চম বলে লিটনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। দুই চার ও এক ছক্কায় ৫৬ বলে ৩৪ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।
লঙ্কান বোলারদের তোপে বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ষষ্ট উইকেটে দলীয় ১৬০ রানে মুশফিকুর রহিমও ফিরেন প্যাভেলিয়নে। পাঁচ বাউন্ডারিতে ৭৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। বাংলাদেশ যেনো ব্যাটিং অর্ডারের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে উইকেট হারাতে তাকে। সিনিয়র এই ক্রিকেটারের বিদায়ের পর মিরাজও ফিরেন সাজঘরে। ৬৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৯৭ রানে ব্যক্তিগত ৩১ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরেন তিনি। দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে অষ্টম উইকেটে আউটের আগে নাঈম হাসান ৫১ বলে ২৫ রান করেন। দুই বাউন্ডারিতে সাজান নিজের ইনিংসটি।
৯ রানে অপরাজিত থাকা তাইজুল ও ৬ রানে অপরাজিত থাকা এবাদত দ্বিতীয় দিন সকালে আবারো ব্যাট করতে নামেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি শেষের ব্যাটসম্যানরা। তাইজুল ৩৩ ও এবাদত ৮ রানে আউট হলে ৭৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ২৪৭ রানে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে আসিতা ফার্নান্দো, সনাল দিনুশা ৩টি করে উইকেট লাভ করেছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০