নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাওয়ার প্লে শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে মাত্র ২২ রান। আরও করুণ দশা প্রথম ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৩৮ রান। রীতিমতো জিম্বাবুয়ের টুঁটি চেপে ধরেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনদের দুর্দান্ত পেস তোপের পর, বল হাতে স্পিন ভেলকি দেখিয়েছেন রিশাদ হোসেন। এক ওভারে জোড়া শিকার তুলে নিয়ে সফরকারীদের ব্যাটিং অর্ডারের কোমড় ভেঙে দিয়েছিলেন।
তবে জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটে জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে। লড়াকু পুঁজিই পেয়েছে সফরকারীরা। জিততে হলে তা স্বাগতিকদের টপকাতে হবে ১৩৯ রানের লক্ষ্য
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে রান বের করতে পারছিল না জিম্বাবুয়ে। ধীর গতির ব্যাটিংয়ের পর চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তাসকিনের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে মারুমানি (৪ বলে ২ রান) ফিরলে ভাঙে দলটির ১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে জয়লর্ড গাম্বিকে (৩০ বলে ১৭ রান) ফিরিয়ে উইকেট নেওয়ার তালিকায় যোগ দেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
এরপর দশম ওভারে এসে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন প্রথম তিন বলে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের একেবারে নাগালে নিয়ে আসেন ম্যাচ। যার মধ্যে ৮ বলে ৩ রান করা সিকান্দার রাজাকে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন লিটন দাস। এরপর সদ্য উইকেটে আসা ক্লাইভকে (২ বলে ০) স্লিপে ক্যাচ লুফে নিয়ে ফেরান তানজিদ তামিম। ১১তম ওভারে শেখ মেহেদীর বলে অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন (১৬ বলে ১৩) ফিরেন লিটন দাসের হাতে ক্যাচ হয়ে।
ঐ একই ওভারে মাত্র এক রানেই ফিরতে পারতেন জিম্বাবুয়ের জার্সিতে অভিষেক হওয়া জোনাথন ক্যাম্পবেল। তবে উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিক সহজ ক্যাচ লুফে নিতে না পারার মাশুল দিয়েছে গোটা বাংলাদেশ। ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৪৫ রানের ক্যামিও খেলে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যান। ব্রায়ান বেনেটের সাথে ৭৩ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে দলকে ভালো এক পুঁজি এনে দেন।
১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ক্যাম্পবেলকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে ক্যাম্পবেল আউট হলেও, বেনেট অপরাজিত থাকেন। দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়ে ২৯ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৪৪ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন। ৩৩ রানে ২ উইকেট লাভ করেন রিশাদ। শরিফুল ২৬ রানে ১টি, শেখ মেহেদী ১৮ রানে ১টি ও সাইফুদ্দিন ৩৭ রানে ১টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post