স্পোর্টস ডেস্কঃ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে চলতি আইপিএলের ফাইনালে উঠল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০২১ সালের পর এই প্রথম ফাইনালে খেলবে শ্রেয়াস আইয়ারের দল। আজ প্রথম কোয়ালিফারে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে কলকাতা। এর আগে হায়দ্রাবাদকে থামিয়ে দেয় তারা ১৫৯ রানে। ৪ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কলকাতার সফলতম বোলার আইপিএল ইতিহাসের নিলামে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার স্টার্ক। রান তাড়ার ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ারের ঝড়ো ফিফটিতে সহজ লক্ষ্য কলকাতা ছুঁয়ে ফেলে ৩৮ বল বাকি থাকতেই।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় কলকাতা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং সুনীল নারিন ৩ ওভারেই তোলেন ৪৪ রান। এই জুটিই কলকাতার রান তাড়াকে সহজ করে দেন। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে গুরবাজকে ফেরান টি নটরাজান। পাওয়ারপ্লেতে ৬৩ রান করে কলকাতা। সপ্তম ওভারে প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে আউট হন নারিন। ১৬ বলে ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দ্রুত সময়ে ২ উইকেট উইকেট হারানোর পর রানের গতি কমার বদলে উল্টো বেড়েছে কলকাতার। ভেঙ্কটেশকে নিয়ে শ্রেয়াস দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন। ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করে কলকাতা। জয়ের জন্য দলটির তখন প্রয়োজন ছিল ৬০ বলে ৫৩ রান, হাতে ৮ উইকেট। ৩ ওভার ৪ বলেই সেটা করে ফেলে আইপিএলের দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন ভেঙ্কটেশ। ৪ ছক্কা ৫ চারে ২৪ বলে ৫৮ রান করা শ্রেয়াস মাঠ ছেড়েছেন ম্যাচ জিতিয়ে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল হায়দ্রাবাদ। টুর্নামেন্ট জুড়ে ঝড়ো ব্যাটিং করা ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা জুটিকে এদিন হাত খুলে খেলতে দেয়নি কলকাতা। স্বদেশী ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করে শুন্য হাতে ফেরান মিচেল স্টার্ক। ভৈভব আরোরার বলে আন্দ্রে রাসেলকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি অভিষেক। চারে নামা নিতিশ কুমার রেড্ডীকে ৯ ও শাহবাজ আহমেদকে ০ রানে ফেরান মিচেল স্টার্ক। ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ৬২ রানের জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেন ও রাহুল ত্রিপাঠি। ২১ বলে ৩২ রান করেন হেনরিখ ক্লাসেন। ৩৫ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৫৫ রান করে রান আউট হন রাহুল। এরপর আব্দুল সামাদ ১৬, প্যাট কামিন্স ৩০ রান করলেও ১৬০ স্পর্শ করতে পারেনি এসআরএইচ। ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানে অলআউট হয় তারা। কলকাতার পক্ষে ৩ উইকেট নেন স্টার্ক। ২ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। ১ টি করে শিকার ভৈভব , হারশিত রানা, নারিন ও রাসেলের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post