নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপা পুনরোদ্ধারের মিশনে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল আবাহনী লিমিটেড। সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৪২ রানে হারিয়েছে আকাশী-নীল শিবির। আফিফের সেঞ্চুরির পর দলের বিদেশি খুশদিল শাহ একাই শিকার করেছেন ৬ উইকেট।
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখলো আবাহনী। অপরদিকে প্রাইম ব্যাংকের অবস্থান চারে। দলটি সমান ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিতে পেরেছে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আবাহনীর দেওয়া ২৮৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই শাহদাত হোসেন দিপুর উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। তবে দ্বিতীয় উইকেটে প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে সাথে নিয়ে আরেক ওপেনার জাকির হাসান ৬৮ রানের এক জুটি গড়েন। দারুণ খেলতে জাকির ফিফটি হাঁকিয়ে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ৫৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করেন তিনি। আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ফিফটি পেলেন জাকির।
জাকিরের ফেরার পরই বিপদে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (১৬) ব্যর্থ হন। গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হন নাসির হোসেন। আল আমিন জুনিয়রও (৮) সুবিধা করতে পারেননি। এক প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকা নাবিলও ফিফটি হাঁকিয়ে আউট হন। ৭৪ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া প্রাইম ব্যাংকের হয়ে এরপর শেখ মেহেদী, অলক কাপালি, কাশিফ ভাট্টিরা হাল ধরলে খানিকটা জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে দ্রুত উইকেট হারালেও, শেষ পর্যন্ত ৪৫.৪ ওভারে ২৪৩ রানে গুঁটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। অলক কাপালি ৪০ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেখ মেহেদী ও কাশিফ ভাট্টি ২৬ রান করে করেন।
আবাহনীর হয়ে দলটির পাকিস্তানি তারকা খুশদিল শাহ ৯.৪ ওভার বল করে ৪৯ রান খরচায় একাই ৬ উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী। ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রানের বেশি তুলতে পারেননি দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। ৯.৩ ওভার স্থায়ী সেই জুটি ভাঙে বিজয়ের বিদায়ে। ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়।
দলীয় ৭৩ রানের মাথায় বিদায় নেন নাঈম শেখ। তিনি ২৬ রান করে যান। মাহমুদুল হাসান জয় টপ অর্ডারে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১৯ রান করে আউট হন। দলীয় একশ রানের আগে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়া আবাহনীর হাল ধরেন এরপর আফিফ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক।
চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১৪০ রানের দারুণ জুটিতেই বড় রানের পুঁজি পায় আবাহনী। মোসাদ্দেক ৭৬ বলে ৪টি করে বাউন্ডারি ও ছয়ের মারে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন আউট হন। টানা দুই ম্যাচে ফিফটি হাঁকালেন এই ডানহাতি ক্রিকেটার। মোসাদ্দেক আউট হলেও, একেবারে দলের ইনিংস শেষ করে মাঠ ছাড়েন আফিফ।
জাতীয় দলে ফেরার মিশনে থাকা এই বাঁহাতি হাঁকান চলতি ডিপিএল ও পুরো লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ১১১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার ১০১ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায়। ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি অনিক।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে শেখ মেহেদী হাসান ২টি ও দলের বিদেশি কাশিফ ভাট্টি ২টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post