নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিপিএলে উড়তে থাকা খুলনা টাইগার্স এবার টানা দুই হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩৪ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। লিটন দাসের ব্যাটে রান ফেরার পর বল হাতে কুমিল্লার হয়ে পেস তোপ দেগেছেন আমির জামাল। একাই শিকার করেছেন ৫ উইকেট।
কুমিল্লার দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা আগ্রাসী করলেও, ১৯ রানের বেশি উদ্বোধনী জুটি টেকেনি খুলনা টাইগার্সের। তবে এনামুল হক বিজয়ের বিদায়ে এই জুটি ভাঙার পর থেকে ধস নামে খুলনার ব্যাটিং লাইনআপে। আফিফ, আকবর, পারভেজ ইমন, এভিন লুইসরা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ১১৫ রানে গুঁটিয়ে যায় ঢাকার ইনিংস। দলের পক্ষে ১২ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ২৩ রানের ক্যামিও খেলেন। নাহিদুল ইসলাম ২৪ বলে ২১ রান করেন। ১২ বলে ১৯ রান করেন অধিনায়ক বিজয়।
কুমিল্লার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানের আমির জামাল। তানভীর ইসলাম ২টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ওপেনার লিটন দাস ও জাকের আলী অনিক খেলেন টি-টোয়েন্টি মেজাজের ইনিংস।
রিজওয়ানকে নিয়ে ইনিংসের শুরু করতে নামেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন। তাদের জুটিতে আসে ৬৯ রান। এরপর খুলনাকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। দারুণ ডেলিভারিতে ভাঙেন ৪৬ রানে থাকা লিটন দাসের স্টাম্প। ফিফটির খুব কাছে গিয়েও ৪ রানের আক্ষেপে পুড়লেন লিটন। এরপর সেই ওভারের শেষ বলে রিজওয়ানকে ফেলেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। ২৮ বল খেলা ওপেনার রিজওয়ান প্যাভিলিয়নে যান নামের পাশে কেবল ২১ নিয়ে।
গতরাতে বাংলাদেশে আসা জ্যাকস আজ খেলতে নেমে ২২ রানের বেশি করতে পারেননি ২৭ বল খেলে। রান আউটে কাটা পড়েন খুশদিল শাহ। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ৪ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। তাওহীদ হৃদয় থিতু হয়েও ইনিংস ফিনিশ করে আসতে পারলেন না। ১৭ বলে ১৬ করে বিদায় নেন। ১১৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলা কুমিল্লাকে এরপর স্বস্তি এনে দেন জাকের আলি অনিক ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। জাকের মাত্র ৮ বলে করেন ১৮ রান।
খুলনার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নাসুম। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post