নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খেলতে ভালোবাসেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থেকেই খেলে যাচ্ছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ৮ নভেম্বর, ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক ঘটে বাংলাদেশ জাতীয় দলে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু তাঁর ওয়ানডেও পথচলা। ২০০১ থেকে ২০২০, দীর্ঘ সময়ের এই পথচলায় নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে ডানহাতি এই পেসার খেলেছেন।
২০২০ সালের মার্চে সিলেটে শেষবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন মাশরাফী। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে দেখা গেছে দেশসেরা এই পেসারকে। এখনো ক্রিকেট খেলে যাওয়া প্রসঙ্গে মাশরাফী বলেন, ‘ক্রিকেট অবশ্যই আমার জীবনে আলাদা জায়গা। তিন বছর আগে যেখানে ছেড়ে এসেছিলাম, সেখান থেকে যতটুকু সুযোগ পাচ্ছি খেলছি। সঙ্গে অন্য কাজও করছি। কারো প্রতি আমার কোন রাগ-ক্ষোভ নেই। যা আছে তা হলো ভালোবাসা। আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভালোবাসি। কোন প্রত্যাশা নিয়ে খেলি না।’
মাশরাফীর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট পেয়েছে সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালদের মত তারকাদের। তবে সেটিও সম্ভব হত না যদি তখনকার সময়ে ফেসবুকের অবস্থা এখনকার মতো থাকত! এমনটাই বলছেন বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী। সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফী জানান, এখনকার সোশ্যাল মিডিয়ার হাল তাদের প্রজন্মে থাকলে তামিম দেশসেরা ওপেনার হতে পারতেন না।
মাশরাফী বলেন, ‘নেগেটিভ জিনিসগুলোই এদেশে বেশি পিক করে পজিটিভ কিছু লিখে তো ফেসবুকে ভালো কিছু পাওয়া যায় না। আমাদের জেনারেশনটা বেশি লাকি যে সোশ্যাল মিডিয়াটা তখন এরকম ছিল না। এখন যারা মেন্টালি স্ট্রং, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকে, কারা কি লিখছে বা বলছে এগুলো না দেখে তাদের জন্য কাজটা সহজ হবে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post