স্পোর্টস ডেস্ক:: যুদ্ধের প্রভাব শুধু পাকিস্তান সুপার লিগে পড়েনি, এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটেও পড়েছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির আশঙ্কায় আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লী ক্যাপিটালসের ম্যাচটি মাঝপথে স্থগিত করা হয়েছে। অন্যান্য ম্যাচও স্থগিতের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ম্যাচটি স্থগিতের আগ পর্যন্ত পাঞ্জাব ১০.১ ওভারে এক উইকেটে ১২২ তুলেছিলো। এ্ররপরই নিরাপত্তার শঙ্কায় ম্যাচ স্থগিত করা হয়।
ভারত অবশ্য আগ বাড়িয়েই পিএসএলে হামলা চালায়। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে চলমান পিএসএলের ম্যাচ ভেন্যুতে ভারতের ড্রোন হামলার পর পাকিস্তান সব বিদেশী ক্রিকেটারদের সরিয়ে নিচ্ছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বিশেষ বিমানে করে দেশটিতে অবস্থান করা ক্রিকেটারদের দুবাইয়ে নিচ্ছে। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটিতে কোনো বিদেশী ক্রিকেটারকে রাখতে চাইছে না পাকিস্তান। সতকর্তার জন্যই বিশেষ বিমানে সব বিদেশীকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু বলেনি পিসিবি। পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচের আগে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের ড্রোন হামলার পর ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে চলমান পিএসএল অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ স্থগিতের ঘোষণা এলো। দুই প্রতিবেশের দেশের যুদ্ধ গড়ালো ক্রিকেট মাঠে। ভারতের নান্দনিক ভেন্যু ধর্মশালায় দিল্লী ও পাঞ্জাবের ম্যাচটি হয়নি। পিএসএলে পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংস ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। পাকিস্তান সুপার লিগে আজ রাত ৮টায় রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচটি অনুষ্টিত হওয়ার কথা। ম্যাচ শুরুর আগে এমন হামলায় ম্যাচটি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগ্রামে হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তানে পাল্টা আক্রশন করে। বিমান হামলা চালায়। এতে হতাহত হন অনেকেই। এর জবাবে পাকিস্তানও দ্রুতই পাল্টা হামলা চালিয়ে জবাব দেয় ভারতকে। উড়িয়ে দেয় ভারতের একটি সেন ব্রিগেডের সদর দপ্তর।
হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। কাশ্মীর সীমান্তে প্রতিদিনই বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। দুই দেশের যুদ্ধ এবার গড়ালো ক্রিকেট মাঠেও। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, পিএসএলের ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে হামলায় স্টেডিয়ামে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলার পর আগুন লেগে যায় স্টেডিয়ামে। দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে দেখা যায়। ড্রোন হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যুর খবর অবশ্য মিলেনি। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)ও কোনো মন্তব্য করেনি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০