স্পোর্টস ডেস্কঃ এবারের আইপিএলে প্রথমবারের মতো হারল স্বাগতিক দল। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুক্রবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজ আগে ব্যাট করে ১৮২ রান করে বেঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে ১৯ বল হাতে রেখে জয় পায় কলকাতা।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১৮২ রান। দলের পক্ষে একাই ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি। কলকাতার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও হারশিত রানা। উইকেটশূন্য মিচেল স্টার্কের খরচ ৪৭ রান। আগের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে কলকাতার বিপক্ষেও দারুণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে শুরুটা যতটা মারকুটে ছিল, শেষদিকে সেই ছন্দটা ঠিক ধরে রাখতে পারেননি কোহলি ও তার দল।
৬ বলে ৮ রান করে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঝড় তুলে পাওয়ার প্লেতে দলকে ৬১ রান এনে দেন কোহলি ও ক্যামেরন গ্রিন। ২১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করে ইনিংসের নবম ওভারে আউট হন গ্রিন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে আসরে নিজের টানা দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়ে নেন কোহলি। তাকে সঙ্গ দিতে আসা ম্যাক্সওয়েল ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২৮ রান করে আউট হন। দলের সংগ্রহ তখন ১৪.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান। এরপর ক্রিজে এসে স্থায়ী হতে পারেননি রজত পাতিদার (৩) ও অনুজ রাওয়াত (৩)।
পরপর দুই ব্যাটারের বিদায়ে রানের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে আসে বেঙ্গালুরুর। কোহলিও যেন কিছুটা চুপসে যান। শেষদিকে দিনেশ কার্তিক নেমে অবশ্য ৩ ছক্কায় ৮ বলে ২০ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ১৮০ পার করেন। ৫৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারের মারে ৮৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলি। কলকাতার পক্ষে ২৯ রান খরচায় ২ উইকেট নেন রাসেল। ২ উইকেট নিতে হারশিতের খরচ ৩৯ রান। অন্যদিকে বল হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন মিচেল স্টার্ক। ৪ ওভার বল করে সর্বোচ্চ ৪৭ রান খরচ করলেও উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। জবাব দিতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় কলকাতা।
সুনীল নারাইন- ফিল সল্টের বিধ্বংসী রূপ দেখেছেন বেঙ্গালুরুর বোলাররা। মাত্র ৩.৩ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ রান তুলে ফেলে কলকাতা। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে ৮৫ রান তোলেন দলটির দুই ওপেনার। তাদের পাওয়ার প্লে-র এই ৮৫ রান কলকাতার আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অবশ্য সপ্তম ওভারেই মায়াঙ্ক ডাগারের শিকার হন নারাইন। আউট হওয়ার আগে মাত্র ২২ বলে দুইটি চার ও পাঁচ ছক্কায় ৪৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। নারাইন আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি সল্টও। দলীয় ৯২ রানে বিজয়কুমার বিশাকের বলে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ২০ বলে সমান দুইটি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রান করে থামেন এই ইংলিশ তারকা।
এরপর রান তাড়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায় কলকাতার জন্য। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার দলকে এগিয়ে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ব্যক্তিগত পাঁচ রানে জীবন পান শ্রেয়াস আইয়ার। তার ক্যাচ ফেলেন যশ দয়াল। ঝড়ো ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ। ইনিংসের ১১তম ওভারে আলজারি জোসেফের ওভার থেকে সমান দুইটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান তোলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন ভেঙ্কটেশ। মাত্র ২৯ বলে ফিফটি করেই পরের বলে আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৩০ বলে ৫০ রান করেন তিনি। অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। তিনি করেন ২৪ বলে ৩৯ রান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post