স্পোর্টস ডেস্ক:: জাতীয় ক্রিকেট লিগের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট এনসিএল টি-২০’র জন্য তিনটি ভেন্যু নির্বাচন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তামিম, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা খেলবেন এনসিএলের ছোট ফরম্যাটে। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকে স্টেডিয়া ও চটগ্রামের ভেন্যুতে কোনো ম্যাচ নেই এনসিএলের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে।
দেশের তিনটি জেলার চারটি ভেন্যুতে হবে টুর্নামেন্টটি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়া, সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড দুইয়ের পাশাপাশি এনসিএলের এই টুর্নামেন্টি হবে বগুড়া ও রাজশাহীতেও। বিসিবি কেন ঢাকার বাইরে এই চার ভেন্যুতে ম্যাচ রেখেছে সেই ব্যাখা দিয়েছে।
ক্রিকেট অপস চেয়ারম্যান, বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম এনসিএল টি-২০র ভেন্যু নিয়ে বলেন, ‘৮ দলের এ আসরে প্রতিদিন ২টি করে ম্যাচ আয়োজন করা ছাড়া আসর চালানো সম্ভব না। আর এক ভেন্যুতে প্রতিদিন দুটি করে খেলা আয়োজন করলে সেই উইকেটের ওপর চাপ পড়বে বেশি। উইকেট দিনকে দিন খারাপ হতে থাকবে। অল্প কদিনেই পিচের মান খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমরা চাচ্ছি যে, একটি ভেন্যুতে ক্রমাগত খেলা না চালিয়ে আমরা এমনভাবে ভেন্যু নির্ধারণ করেছি যেন এক মাঠে প্রতিদিন একটির বেশি খেলা চালাতে না হয়। তাই আমরা ভেন্যু হিসেবে রাজশাহী-বগুড়া আর সিলেটকে বেছে নিয়েছি।’
দুই মাঠ থাকায় সিলেটে খেলা জানিয়ে ফাহিম বলেন, ‘সিলেট পর্বে প্রতিদিন দুটি করে খেলা চালানো যাবে। কারণ সিলেট স্টেডিয়ামের ঠিক বাইরে সিলেট আউটার স্টেডিয়ামও একদম খেলা উপযোগী অবস্থায় আছে। যে কোনো মানের খেলা সেখানে আয়োজন করা যায়। কাজেই সেখানে একসঙ্গে প্রতিদিন দুটি করে না হয় একটি দুপুরে অন্যটি সন্ধ্যায় ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর অন্যদিকে বগুড়া ও রাজশাহীকে এক সেট ধরা হয়েছে। বগুড়া ও রাজশাহীতে প্রতিদিন এক সেটের দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু ভৌগোলিক দিক থেকে দুই ভেন্যুর দূরত্বও কাছাকাছি (৯৫ কিলোমিটার)। তাই এই দুই ভেন্যুতে একসাথে খেলা চালানো যাবে। সে কারণেই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়ামকে এক সেট আর বগুড়া ও রাজশাহীকে এক সেট ধরে ভেন্যু সাজানো হয়েছে এনসিএল টি-টোয়েন্টির।’
টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেন ‘এটা নিয়ে আমাদের লম্বা একটা সভা হয়েছে। কারণ, ভেন্যু পাওয়াটা আসলে কঠিন ছিল। একই জায়গায় দুইটা মাঠ দরকার। অনেক চিন্তাভাবনা করে আমরা এখন সেটা চিন্তা করেছি বগুড়া, রাজশাহী এবং সিলেট; এই তিনটা জায়গায় আমরা করব। এটাই এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিলেটে আমাদের দিবারাত্রির (ম্যাচ) একটা পরিকল্পনা আছে।সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হয়লো আমরা দিবারাত্রির করব, সেটার জন্যই সিলেটে আমরা পরিকল্পনা করেছি।’