স্পোর্টস ডেস্কঃ দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে ফের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া। রোববার কেপটাউনে ফাইনালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৯ রানে জিতেছে অজিরা। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে তারা। জবাবে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে স্বাগতিকরা। এই নিয়ে মোট ৬ বার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া।
রান তাড়া করতে নেমে মন্থর গতিতে ব্যাট করতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বিপদ আরও বাড়িয়ে তোলেন ওপেনার তাজমিন ব্রিটস। মুনির মতো প্রোটিয়া ওপেনার লরা ভলভার্টও নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন। পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছেন ভলভার্ট। প্রোটিয়াদের কোনো জুটিই বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি। রান ব্যবধান বাড়তে থাকায় উল্টো চাপ বাড়তে থাকে তাদের। একপাশ ভলভার্ট আগলে রাখলেও অন্যপাশে একের এক ব্যাটার নামতে থাকেন। প্রোটিয়া অধিনায়ক সুনে লুসও বিশ্বজয়ের মঞ্চে ব্যর্থ। শেষদিকে কেবল ট্রায়ন ভলভার্টকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন।
তবে পরপর উইকেটের পতনে রানরেট বাড়তে থাকে। সর্বশেষ দুই ওভারে প্রোটিয়াদের সামনে ৩০ ঊর্ধ্ব রান দরকার ছিল। কিন্তু নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। ভলভার্ট ৪৮ বলে ৬১ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ট্রায়ন। অজিদের হয়ে মেগান, গার্ডনার, ব্রাউন ও জনাসেন একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও ছিল মন্থর। পাওয়ার প্লেতে অ্যালিসা হিলিকে হারিয়ে তারা করতে পারে কেবল ৩৬ রান। হিলি ৩ চারে ১৮ রান করেন ২০ বল খেলে। তিনে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন গার্ডনার। অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেন নি তিনি। দুটি করে ছক্কা-চারে ২১ বলে ২৯ রান করেন গার্ডনার। গ্রেস হ্যারিস ও মেগ ল্যানিং পারেননি বেশিক্ষণ টিকতে। দুইজনেই করেন ১০ রান।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন ওপেনার মুনি। ফিফটি করেন ৪৪ বলে। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭৪ রান করেন তিনি। দারুণ এই ইনিংসের সুবাদে জিতেছেন ফাইনাল সেরার পুরষ্কার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৮ আসরের মধ্যে ছয়টিই জিতে নতুন ইতিহাস গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১০, ২০১২, ২০১৪ সালে টানা তিনবারের পর ২০১৮, ২০২০ ও ২০২৩ সালে জিতল তাসমান সাগরপাড়ের দলটি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post