স্পোর্টস ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় জয়ে সুপার এইটে পৌঁছে গেল উইন্ডিজ। আর টানা দুই হারে নিউজিল্যান্ড এখন বিদায় নেওয়ার খুব কাছে। ‘সি’ গ্রুপে তাদের অবস্থান এখন পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। বৃহস্পতিবার সকালে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ত্রিনিদাদে বৃহস্পতিবার ১৩ রানে জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা। ১৪৯ রানের পুঁজি গড়ে কিউইদের তারা থামিয়ে দিয়েছে ১৩৬ রানে।
রান তাড়ায় ভালো শুরু করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। প্রথম ৭ ওভারে ৪৫ রান তুলতে গিয়ে হারায় ৩ উইকেট। যার মধ্যে একটি কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের। তিনি মাত্র ১ রান করে স্পিনার গুড়াকেশ মোতির বলে উইকেটকিপার নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দেন। এর আগে আউট হয়েছেন ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। রাচীন রবীন্দ্র ও ড্যারেল মিচেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দুজনেই ফিরেছেন ১১ ওভারের মধ্যে। তখন নিউজিল্যান্ডের রান ১১ ওভারে ৫ উইকেট ৬৩। এরপর একাই লড়ে গেছেন গ্লেন ফিলিপস। ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন তিনি। আলজারি জোসেফ বল হাতে নিয়েছেন ১৯ রানের ৪ উইকেট। মোতি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে উইন্ডিজের শুরুটাও হয় বাজেভাবে। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় দলটি। তুলতে পারে মাত্র ২৩ রান। স্বাগতিকদের পঞ্চম উইকেট হারায় ৩০ রানে। সেখান থেকে দলের রানটা ১৪৯ পর্যন্ত একাই নিয়ে যান শেরফানে রাদারফোর্ড। ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং ইনিংসের রাদারফোর্ডের ৬৮ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে, তিনি করেছেন মাত্র ১৭ রান। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। তবে শেষ পর্যন্ত আর বোল্টের মুখে হাসি থাকে নি হারের বিষাদে! শেষ দুই ওভারে একাই ব্যাট হাতে ৩৭ রান করেন রাদারফোর্ড। তাতে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post