নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা পুনরুদ্ধার করল অস্ট্রেলিয়া। এবারের আসরে আজ স্বাগতিক ভারতকে কাঁদিয়েছে অজিরা। রোববার আহমেদাবাদের ফাইনালে তারা ম্যাচ জিতেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। তাসমান সাগরপাড়ের দেশটির রেকর্ড হেক্সা জয়ে বড় অবদান ট্রাভিস হেডের। বিশ্বকাপ ফাইনাল ইতিহাসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২৪০ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। রান তাড়ায় শুরুটা ভালো না হলেও ট্রাভিস হেড-মার্নাশ লাবুশানের রেকর্ড জুটিতে বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এটি তাদের রেকর্ড ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ ফাইনালের রান তাড়ায় সর্বোচ্চ জুটি এখন হেড ও লাবুশানের। ৯৫ বলে তিন অঙ্ক ছুঁলেন হেড। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় এই মাইলফলকে পা রাখেন বাঁহাতি ওপেনার। চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ও ওয়ানডেতে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি এটি। বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায় দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হেডের। প্রথমটি ১৯৯৬ সালে করেছিলেন অরবিন্দ ডি সিলভা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই। এবার এই তালিকায় নাম উঠল হেডের।
জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। তবে দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান মোহাম্মদ শামি। ৩ বল খেলে ৭ রান করেন ওয়ার্নার। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে ঝড় তুলেছিলেন মিচেল মার্শ। তবে সে ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বুমরাহর পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলটি মার্শের ব্যাটে আলতো চুমু খেয়ে উইকেট কিপার জশ ইংলিশের হাতে জমা পড়ে। ১৫ বলে ১টি করে চার ও ছয়ে ১৫ রান করে ফেরেন মার্শ। সপ্তম ওভারের শেষ বলে স্টিভেন স্মিথকেও ফেরান বুমরাহ। ৯ বলে ৪ রান করে ফেরেন স্মিথ।
তৃতীয় উইকেটে অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন হেড এবং লাবুশানে। বিপদের মুখে দুজনে মিলে গড়েন ১৯২ রানের জুটি। আর তাতে কোনো শঙ্কা ছাড়াই রান তাড়া করে ফেলে অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার যখন ২ রান দরকার, তখন আউট হন হেড। মাঠে নেমে প্রথম বলেই উইনিং শট খেলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা উৎসবে মাতে অস্ট্রেলিয়া। পূর্ণ করে মিশন ‘হেক্সা’! অনিন্দ্যসুন্দর ব্যাটিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন হেড।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং করে ভারত। ৪.২ ওভারেই ৩০ রান সংগ্রহ করে তারা। এরপরই শুভমান গিলের উইকেট হারায় ভারত। প্রথম ১০ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে ভারত। রোহিতের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন আইয়ার। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটার এদিন প্যাভিলিয়নে ফেরেন একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েই। ৮১ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত।
ধীরগতির ব্যাটিংয়ে চতুর্থ উইকেটে ১০৯ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। অবশেষে এই জুটিটি ভেঙে দেন প্যাট কামিন্স। ৬৩ বলে ৫৪ রান করে কামিন্সের শিকার হন কোহলি। রবীন্দ্র জাদেজাও ফেরেন ৯ রান করে।
দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করা লোকেশ রাহুলকে সাজঘরের পথ দেখান মিচেল স্টার্ক। ৬৬ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৬ রান করে শামি প্যাভিলিয়নে ফিরলে ২১১ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় রোহিত শর্মার দল।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post