স্পোর্টস ডেস্ক:: পিএসজির সঙ্গে মেসির সম্পর্কের ছেদ ঘটছে। অনুমতি না নিয়ে সৌদী সফরে গেছেন, এরপরই ফরাসি ক্লাবটি নিষিদ্ধ করেছে লিওনেল মেসিকে। অবশ্য সম্পর্কের অবনতি শুরু আরো আগ থেকেই। যার কারণে কাতার বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের সাথে আর চুক্তি নবায়ন করেনি পিএসজি।
মেসি বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে ছিলেন, ক্লাব সেই দাবি উড়িয়ে পুরনো বেতনে ক্লাবে রাখতে চেয়ে ছিলো। রাজি হননি মেসি। সম্প্রতি দলে তার নিবেদন নিয়েও প্রশ্ন উঠে। এর মধ্যে লারিয়াঁর বিপক্ষে হারের পর ছুটি না নিয়েই সৌদী আরব সফরে যান মেসি। যদিও তিনি গেছেন দেশটির শুভেচ্ছা দূত হয়ে।
তবে গুঞ্জন আছে আরেকটি। সৌদীর প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল যে ৪০ কোটি ডলার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে মেসিকে। অনেকের ধারণা সৌদীর পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শুভেচ্ছা দূতের কাজের সঙ্গে আল হিলালের সঙ্গেও ভবিষ্যতের কাজ সেরে ফেলতে পারেন ফুটবল জাদুকর। আর্জন্টাইন ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জেতার এখনো মাস ছয়েক যায়নি। । বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককেই কিনা নিষিদ্ধ করে বসলো পিএসজি। বিশ্ব ফুটবলের বড় তারকা হয়েও শাস্তি থেকে বাঁচতে পারলেন না তিনি। ফরাসি ক্লাবটির শাস্তির খড়গ নেমে আসলো তার ওপর।
ক্লাবের অনুমতি না নিয়ে সৌদী আরব সফরে গিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়লেন কাতার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। পিএসজির মতো ক্লাবও তাকে নিষিদ্ধ করলো। ক্লাবটির সঙ্গে এমনিতেই সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না এই তারকার। নবায়ন করেননি চুক্তিও। এই নিষেধাজ্ঞা ক্লাব বদলের পালে নতুন মাত্রা দিলো।
ক্লাবের অনুমতি না নিয়েই সৌদী আরব সফরে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর এতেই ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা বেকে বসেছে। শাস্তি দিয়েছে এই তারকা ফুটবলারকে। লিগ ওয়ানে লারিয়াঁর বিপক্ষে হারের পরপরই মেসি স্ব-পরিবারে সৌদী আরব সফরে যান। ক্লাবের কোচ ক্রিস্তোফা গালতিয়ের কাছে ছুটি চেয়ে ছিলেন। কিন্তুু কোচ ছুটি দেননি। তার পরও তিনি সৌদী সফরে চলে যান। এরপরই ক্লাবটি তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিলো।
অনুমতি ছাড়া যাওয়ায় লিওনেল মেসিকে নিষিদ্ধ করেছে পিএসজি। নিষিদ্ধের এই সময়ে তিনি ক্লাবে ফিরতে পারবেন না। মাঠেও নামতে পারবেন না। আগামি ২ সপ্তাহ নিষিদ্ধ থাকবেন তিনি।
বিসিবি জানিয়েছে, সৌদীতে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কিন্তুু পাননি। এরপরও তিনি সৌদীতে যান। যার কারণে ফরাসি ক্লাবটি তাকে ১৪ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। পিএস জি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ে ও ক্রীড়া উপদেষ্টা লুইস কাম্পোসের কাছে অনুমতি চেয়ে ছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।
ক্রিস্তোফ ও লুইসের কাছে প্রত্যাখাত হয়ে মেসি পিএসজির মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মালিক পক্ষের সবুজ সঙ্কেত নিয়েই তিনি সৌদী আরবে চলে যান। লেকিপ তাদের প্রতিবেদন আরো জানিয়েছে, মূলত সৌদীর পর্যটন দূত হিসেবেই দেশটিতে সফরে গেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর।
তবে তার এই সফর আলোচনা ছড়াচ্ছে ভিন্ন কারণে। ক্লাবের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না আর্জেন্টাইন তারকার। করেননি চুক্তি নবায়নও। তার ওপর বার্সেলোনা তাকে ফেরাতে চাচ্ছে। অন্য দিকে সৌদীর প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালও দিয়ে রেখেছে লোভনীয প্রস্তাব। ৪০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়ে ক্লাবটি ডাকছে তাকে।
অনেকের ধারণা সৌদী সরকারের আমন্ত্রণে মেসি সফরে গেলেও আল হিলাল সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইবে। মেসিকে দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও সেরে ফেলতে পারে ক্লাবটি। পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। ক্লাবটি আগে জানিয়ে ছিলো, বিশ্বকাপের পরপরই তারা এই তারকার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবে। কিন্তুু জানা যাচ্ছেন, বেতন বাড়ানোর দাবি করা হয়েছিলো মেসির পক্ষ থেকে। কিন্তুু ক্লাব রাজি হয়নি। তাই দুই পক্ষের চুক্তি স্বাক্ষরও হয়নি।
যার কারণে মেসি পিএসজি ছাড়তে পারেন। তার ফেরার অপেক্ষায় আছেন বার্সা সমর্থকেরাও। গুঞ্জন হয়ে ক্যাম্প ন্যু আবার ফেরাতে চায় তাকে। এরই মধ্যে আল হিলাল ৪০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। সব মিলিয়ে মেসির আগামির ভবিষ্যত কোথায় হচ্ছে সেটা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। অবশ্য ৩০ জুনের পরই জানা যাবে আসলে কোথায় যাচ্ছেন এই তারকা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post