ফিফটির পরই থামলেন সাকিব, মুশফিকের মাইলফলক

0
28

স্পোর্টস ডেস্কঃ সুপার ফোরের লড়াইয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫০ রানের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তবে এরপরই জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত পঞ্চাশের পর অবশ্য ফিরেছেন অধিনায়ক সাকিব।

মুশফিককে নিয়ে ৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ফাহিম আশরাফের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফখরকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আর তাতে শেষ হয়েছে মুশফিকের সঙ্গে তার ১২০ বলে ১০০ রানের জুটি।

সাকিব ফিরে গেলে শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে ৭১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ৪৬তম ওয়ানডে ফিফটি। এর আগে লাহোরে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারে হারায় ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজকে। আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে সেঞ্চুরি করা এই ডানহাতি ক্রিকেটারে আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে এদিন হতাশ করেছেন মিরাজ। পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহর করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রানার খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন তিনি।

লেগ স্টাম্পে রাখা বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। ফিল্ডার ফখর জামানের সহজ ক্যাচ নিতে কোনো অসুবিধা হয় নি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার গোল্ডেন ডাক পেলেন মিরাজ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পঞ্চমবার প্রথম বলেই আউট হলেন মিরাজ। কিন্তু ওয়ানডেতে এই প্রথম। এরপর নাসিম-শাহিনদের বিপক্ষে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন। তবে দুজনের জুটি বেশি বড় হয় নি।

পঞ্চম ওভারে শাহিনের অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব আ লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়েছেন লিটন। ব্যাটে কানায় লেগে ক্যাচ গেছে উইকেটকিপার রিজওয়ানের কাছে। ১৩ বলে ১৬ রান করেন তিনি। হাঁকান ৪টি চার। দ্রুত ফিরেন তাওহিদ হৃদয়ও। পেসার হারিস রউফের গতির ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন মাত্র ২ রান। বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি নাঈম শেখ। ভালো শুরু পেলেও তিনি ইনিংস বড় করতে পারেননি। রউফের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বাংলাদেশের এই ওপেনার টপ এজ হয়েছেন ব্যক্তিগত ২০ রানে।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here