নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে চট্টগ্রাম টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে সাবধানী শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ দল। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে আধা ঘন্টা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩১ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান দলকে ভালো অবস্থানে রেখেই সকালের সেশনটা পার করেছেন।
যদিও একবার জীবন পেয়েছেন জাকির। প্রভাত জয়সুরিয়ার করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে জাকিরের ব্যাটে কানায় লেগে উইকেটের পেছনে থাকা কুশল মেন্ডিসের কাছে চলে যায়। তবে অনেকটা নিচু হয়ে উঠা ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক। ব্যক্তিগত ১০ রানে তাই জীবন পান জাকির। সেটিকে কাজে লাগিয়ে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন নিজের ব্যক্তিগত ইনিংস, সেটিই দেখার এখন।
জাকির ১১ ও জয় ১৯ রান করে অপরাজিত আছেন। এই টেস্ট জিততে হলে আরও ৪৮০ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। আর এর জন্য পাঁচটি সেশন পাচ্ছে স্বাগতিকরা। হাতে পুরো দশ উইকেট রয়েছে।
এদিন আগের দিনের করা ৬ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিন সকালের সেশনে আবারও ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এদিন পূরণ করেন নিজের ফিফটি। প্রভাত জয়সুরিয়াকে সাথে নিয়ে এগিয়ে নেন ইনিংসকে। তবে ফিফটি পূরণ করার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি এই ব্যাটার। প্রভাতের সাথে ৪৩ রানের জুটি ভেঙে ফিরে যান সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড আউট হয়ে। ৭৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
তবে এই উইকেটের পর আর কোনো উইকেট হারায়নি। দলের রান দেড়শ পার হওয়ার পর, লিড যখন পাঁচশ ছাড়িয়ে যায়, তখনই ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস থামিয়ে দেয় সফরকারীরা। যার ফলে ৩৫৩ রানের লিড যোগ করে শ্রীলঙ্কার পুঁজি দাঁড়ায় ৫১০। প্রভাত জয়সুরিয়া ২৮ ও বিশ্ব ফার্নান্দো ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশকে জিততে হলে সাড়ে পাঁচ সেশনে করতে হবে ৫১১ রান। সিরিজে সমতা আনতে গেলে নতুন ইতিহাসই গড়তে হবে টাইগারদের।
বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা হাসান মাহমুদ ৬৫ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দেখা পান। খালেদ ২টি ও সাকিব ১টি উইকেট শিকার করেন।
			
                                
































Discussion about this post