নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বকাপের বছর ২০২৩। এর জন্য নিজেদের সেরা কম্বিনেশন ঠিক করছে সব দেশগুলো। ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ দল। সেই প্রস্তুতির একটা জায়গা দলের দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার। সাকিব আল হাসান অটোমেটিক চয়েজ হয়ে দলে আছেন ইতিমধ্যেই।
এর বাইরে দলে দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আছেন দুই জন। নাসুম আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। সবশেষ চার সিরিজে এই দুই জনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে। গেল বছরের শেষ দিকে ভারতের বিপক্ষে দলে ছিলেন নাসুম। তবে এবছর ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে বাদ পড়েন তিনি। সেখানে সুযোগ পান তাইজুল।
এরপর আবার আয়ারল্যান্ড সিরিজে ফিরেন নাসুম, তখন বাদ পড়েন তাইজুল। এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে তাইজুলকে ফেরানো হয়েছে, তবে বাদ দেওয়া হয়েছে নাসুমকে। এক প্রকার ইঁদুর-বিড়াল দৌড় চলছে দুজনকে নিয়ে। ভালো করলেও, নিয়মিত সুযোগ হচ্ছে না দলে।
তবে এই নিয়ে চিন্তিত না বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সিলেটে তিন দিনের ক্যাম্পের শেষ দিনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মলনে এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরের প্রশ্নের জবাবে এই লঙ্কান কোচ জানিয়ছেন, বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এভাবেই চলবে। একেকটি সিরিজে একেকজনকে নেওয়া হবে দলে। তাদের সাথে আলোচনাও হয়েছে এই নিয়ে। স্কোয়াড বড় করার চিন্তা থেকেই এমনটা করা হচ্ছে।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি, আমি স্কোয়াডটা বড় করতে চাই। সবাইকে অনেক অভিজ্ঞতা দিতে চাই। তাই আমরা প্রতিনিয়তই এভাবেই করে যাব বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় এমন বার বার পরিবর্তনে খেলোয়াড়দের মানসিকতায় প্রভাব ফেলবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরে হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন করবে না। এই দুজনকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। যদি প্রভাব ফেলে, তাহলে তার দলে থাকার যোগ্যতা নেই বলে কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছেন এই লঙ্কান কোচ।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘করবে না, কারণ তাদের সাথে কথা হয়েছে। ব্যাখ্যা করেছি কেন তারা আছে এবং কেন নেই। আশা করছি, কোনো প্রভাব ফেলবে না। যদি ফেলে, তাহলে এই চাপের জন্য তাদের পারফম্যান্সেও প্রভাব ফেলবে। এই ধরনের খেলোয়াড় আমরা দলে চাই না।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা