নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে আজ ৭০ রানে হারিয়েছে ভারত। এতে কিউইদের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপের সেমিতে হারের প্রতিশোধ নিয়ে ১২ বছর পর ফাইনালে জায়গা পাকা করল রোহিত শর্মার দল। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। তার বোলিং তোপে শেষদিকে দাঁড়াতেই পারেনি ব্ল্যাকক্যাপসরা।
আজ ভারতের প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের ম্যাচে শামি নিয়েছেন ৭ উইকেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯.৫ ওভারে ৫৭ রান খরচায় তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট। বিশ্বকাপে ৭ উইকেট নেওয়া পঞ্চম বোলার ডানহাতি এই পেসার। তবে নক-আউট ম্যাচে এটিই সেরা বোলিং। ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন গ্যারি গিলমোর।
চলতি আসরে এটি শামির তৃতীয় ৫ উইকেট। এক বিশ্বকাপে তিন বার ৫ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে এটি তার চতুর্থ ৫ উইকেট। এই কীর্তিতেও প্রথম তিনি। মিচেল স্টার্ক তিনবার নিয়েছেন ৫ উইকেট। ফর্মের তুঙ্গে থাকা শামির এবারের বিশ্বকাপে মোট শিকার ২৩টি। ভারতের বোলারদের মধ্যে এক আসরে এটিই রেকর্ড। ২০১১ সালে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে জহির খান নিয়েছিলেন ২১ উইকেট।
এত অর্জনের দিনে সেমিফাইনালের সেরা হয়েছেন শামি। এর আগে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবার বল হাতে আক্রমণে আসেন তিনি। সেই ওভারে তার করা গুড লেন্থের এই বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন কনওয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৩ রান। কনওয়ে ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাচিন রবীন্দ্র। এই ওপেনারও শামির শিকার হয়েছেন। অস্টম ওভারের পঞ্চম বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
৩৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর কিউই সমর্থকরা হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছিল। তবে হাল ছাড়েননি উইলিয়ামসন-মিচেল। এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটার মিলে তৃতীয় উইকেটে ১৮১ রানের জুটি গড়েন। তাতে ম্যাচেও ফেরে তারা। কিন্তু ৭৩ রান করে উইলিয়ামসন ফেরার পর ফের পথ হারায় দল। এক বল বিরতি দিয়ে শামি আবার ফেরান টম ল্যাথামকে। এরপর নিউজিল্যান্ড আর ম্যাচে ফেরতে পারেনি। সেখানেও মিশে ছিলেন শামি। সর্বোচ্চ ১৩৪ রান ড্যারেল মিচেলের পর টিম সাউদি এবং লোকি ফার্গুসনও ফিরেছেন এই পেসারের বলেই। ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে থামেন মোহাম্মদ শামি। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও অবধারিতভাবেই পেয়েছেন তিনি।