নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো! টানা পাঁচ হারের পর বিপিএলের এবারের আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের মাঠে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। সিলেটের ১৪২ রানের জবাবে ঢাকা থেমেছে ১২৭ রানে।
বৃথা গেছে তাসকিন আহমেদের লড়াই। শেষ দিকে ব্যাট হাতে জমিয়ে তুলেছিলেন ম্যাচ। তবে তার দলের ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছে।
সিলেটের রোমাঞ্চকর জয়ে বোলারদের অবদানই বেশি। এনরাভা-রাজারা বিধ্বস্ত করেছে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপকে। তবে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের অবদানও কম না। ব্যাট হাতে দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দিতে সহায়তা করেছেন।
সিলেটের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ। চতুর্থ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ফিরে যান দুই ওপেনার সাইম আইয়ূব (১৩) ও নাঈম শেখ (২)। এরপর সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স রস ৩১ রানের জুটি গড়লেও, সেই জুটি খুব ইতিবাচক হয়নি দলের জন্য। জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে বাকি উইকেটও হারাতে থাকে ঢাকা।
দলীয় ৯২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দল। তবে সেখান থেকে উসমান কাদিরকে সাথে নিয়ে ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়ে দলকে অলআউট থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি একশ রান না পার করার শঙ্কা থেকে মুক্তি দেন তাসকিন আহমেদ।
১১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ২৭ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন তাসকিন। তবে জেতাতে পারেননি দলকে। হারলেও, দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তারই। রসের ব্যাট থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন রিচার্ড এনরাভা। ৪১ রান খরচায় ২ উইকেট লাভ করেন রেজাউর রহমান রাজা। শেষ ওভারে গিয়ে রান খরচ করেন তিনি। মাত্র ১৬ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন বেনি হাওয়েল।
এর আগে ব্যাটিংয়ে আরও একবার নিজেদের অসহায়ত্ব দেখায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট ১৪২ রান স্কোরবোর্ডে তুলে স্ট্রাইকার্সরা।
লাক্কাতুরার ২২ গজে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই শরিফুল ইসলামের পেস তোপে টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে সিলেটের। একে একে ফিরেন শামসুর রহমান শুভ (গোল্ডেন ডাক), নাজমুল হোসেন শান্ত (১২ বলে ৩ রান) ও জাকির হাসান (গোল্ডেন ডাক)। এর মাঝে চতুর্থ ওভারে টানা দুই বলে শান্ত ও জাকিরকে বোল্ড আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান শরিফুল। তবে এক আসরে দুই বার হ্যাটট্রিক হয়নি আর শেষ পর্যন্ত।
১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলকে চতুর্থ উইকেটে সামিত প্যাটেল ও অধিনায়ক মিঠুন মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। ৩২ রান করে সামিত বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর উইকেটে এসে রায়ান বার্ল, বেনি হাওয়েলরা সুবিধা করতে পারেননি। তবে উইকেটে এসে ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও খেলে ফিরেন আরিফুল হক।
ইনিংসের একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে আউট হন অধিনায়ক মিঠুন। তবে এর আগে দলের পক্ষে ৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে যান। তার ১২৮’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে সহায়তা করে।
ঢাকার হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন এই বাঁহাতি পেসার। ১ উইকেট পেলেও, ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করেছেন তাসকিন আহমেদ। আরাফাত সানী ২৩ রানে ২ উইকেট লাভ করেছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post