স্পোর্টস ডেস্ক:: অর্থের অভাবে সাফ চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা মিয়ানমারে অলিম্পিকের বাছাইয়ে অংশ নিতে পারেনি। এরপরই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলন করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে বলে ছিলেন, মেয়েরা সাফ জেতার পর অনেকেই পুরস্কার দেবেন বলে ছিলেন। তবে বাফুফের দুই কর্মকর্তা সালাম মুর্শেদী ও আতাউর রহমান ভুঁইয়া ছাড়া কেউ পুরস্কারের টাকা দেননি।
বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন জানিয়ে ছিলেন, বিসিবিও ঘোষণার ৫০ লাখ টাকা দেয়নি। এবার বিসিবি সভাপতি নাজুমল হাসান পাপন জানালেন, এটি মিথ্যা কথা। ক্রিকেট বোর্ড চেক রেডি করে রেখেছে। ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা চেকগুলো নিচ্ছেন না। তারা অসহযোগিতা করছেন।
ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, প্রত্যেকের নামে চেক রেডি করা ৪/৫ মাস আগ থেকেই। কিন্তুু বাফুফে থেকে চেকগুলো নেওয়া হচ্ছে না। ঈদের আগেই চেকগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিসিবির পুরস্কারের টাকার খবর জানেন না জানিয়ে কাজী সালাউদ্দিন বলেন,‘মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরমানিক (বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক) টাকা দিয়েছে। সালামের (বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী) পে অর্ডার রেডি আছে। বিসিবির খবর জানি না। অনেকে টিভি পর্দায় বলেছে…
বাফুফে বসের এমন মন্তব্যের পর বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন দিলেন পাল্টা বক্তব্য। বুধবার তিনি বাফুফে সভাপতির দাবিকে মিথ্যা জানিয়ে বলেন, ‘মিথ্যা কথা (বিসিবি টাকা দিতে দেরি করছে)। ওরা (ফুটবল ফেডারেশন) নেয় না। বারবার বলা হচ্ছে তো। সুজনের (সিইও) সঙ্গে কথা বলেন, বলতে পারবে। আমাদের অক্টোবর মাসে চেক সই করা একদম নামে নামে।’
সাংবাদিকদের জানতে চাইলে বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘বাফুফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আসলে খেলোয়াড়দের অ্যাভেইলঅ্যাবিলিট এবং তাদের কাছে চেক তুলে দেওয়ার যে ইচ্ছে আমাদের ছিল, সেটা মিলছিল না বলেই হয়তো দেরিটা হচ্ছিল। আমরা কিন্তুু প্রস্তুত ছিলাম ৩/৪ মাস থেকে। চেকও প্রস্তুুত। উনারা (বাফুফে) যদি সুবিধাজনক সময় না দেন তবে আমরা চেকগুলো পাঠিয়ে দেব।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেসন্ক/০০
Discussion about this post