স্পোর্টস ডেস্কঃ নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্সে নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে জুনিয়র টাইগ্রেসরা। ৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রায় ১১ ওভার (৬৫ বল) হাতে রেখেই বড় জয়ের দেখা পেয়েছে দিশা বিশ্বাসের দল। ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ বলে ৩৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন স্বর্ণা আক্তার।
আমিরাতের দেওয়া ৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় মাত্র ২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিষ্টি সাহা। দলীয় ২১ রানের মাথায় আরেক ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা আউট হন। এর আগে দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন। তার ১৫ বলের ইনিংসে ছিল ৩ বাউন্ডারি। দলীয় ২২ রানের মাথায় ফিরে যান সুমাইয়া আক্তার।
খানিকটা বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে ৪৬ রানের জুটি গড়ে রক্ষা করেন টপ অর্ডারে নামা স্বর্ণা আক্তার ও রাবেয়া খান। জয়ের একেবারে কাছে গিয়ে দলীয় ৬৮ ও ৬৯ রানের মাথায় যথাক্রমে রাবেয়া ও স্বর্ণার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এর আগে রাবেয়া ১৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৪ ও স্বর্ণা ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের ক্যামিও খেলেন। উইকেটে এসে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৯.১ ওভারেই দলের জয় নিশ্চিত করেন উন্নতি আক্তার।
আমিরাতের হয়ে ইন্দুজা ও সামাইরা ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ১টি উইকেট লাভ করেন মাহিকা গৌর।
এর আগে পচেফস্ট্রুমে এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে আমিরাত। তবে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি দলটি। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৯ রান সংগ্রহ করে আমিরাত। জুনিয়র টাইগ্রেসদের বোলিং তোপে পড়ে বেশিরভাগই উইকেটে নাজেহাল হয়েছেন। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন ওপেনার লাবণ্য কেনি। তবে সেটি করতে একাই ৪৬ বলে খেলে ফেলেন, হাঁকান ৩টি বাউন্ডারি।
দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান করেন মাহিকা গৌর। এই দুই জনের বাইরে আর কেউই ব্যক্তিগত রানের কোটা দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি। জিততে হলে বাংলাদেশকে তাই করতে হবে এখন মাত্র ৭০ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন রাবেয়া খান। ১৬ রান দিয়ে মারুফার শিকার ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট লাভ করেন দিপা, শিখা ও স্বর্ণা।
জিতলেও সেমি ফাইনালে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। গ্রুপ-১’এ ছয় দলের মধ্যে তিন নম্বরে থেকে আসর শেষ করতে হয়েছে। এই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল হিসেবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করেছে সেমি ফাইনাল। অথচ বাংলাদেশের সমান আসরজুড়ে ৪ ম্যাচে তিন জয় ও ১ হার তাদের। মূলত সবারই ৬ পয়েন্ট, তবে রান রেটের মারপ্যাঁচে বাকি দুই দলের থেকে পিছিয়ে থেকে আসর শেষ হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post