স্পোর্টস ডেস্কঃ ওমানকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। কলম্বোতে ২০১ বল হাতে রেখেই ওমানকে উড়িয়ে দিয়েছেন টাইগাররা। বল হাতে সাকিব-রাকিবুলদের দুর্দান্ত পারফর্মের পর ব্যাট হাতে তানজিদ হাসান তামিম ঝড় তুলেছিলেন। রান পেয়েছেন নাঈম শেখও।
এই জয়ে সেমি ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল সাইফ হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই করেও ৪৮ রানের হার দেখে। এবার ওমানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ বাকি আছে এখন।
ওমানের দেওয়া ১২৭ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ঝড়ো এক শুরু পায়। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৪.২ ওভারে ১০৯ রান তুলেন তামিম ও নাঈম। দুই ওপেনারের সেই জুটি ভাঙে তামিমের বিদায়ে। মাত্র ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া তামিম শেষ পর্যন্ত ৬৮ রান করে আউট হন। তার সেই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪৯ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মারে। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁহাতি।
ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে এক ধাপ ওঠিয়ে নিয়ে এসে উইকেটে এদিন কিছু করতে পারেননি সাইফ হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক আগের ম্যাচে চারে নেমে ফিফটি হাঁকালেও, এই ম্যাচ কোনো রান না করে অর্থাৎ, ডাক মেরেই ফিরে গেছেন একই ওভারে। তবে আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।
ক্রিজে আসা জাকির হাসানকে সাথে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ২১ রানের জুটি গড়ে মাত্র ১৬.৩ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন ওপেনার নাঈম শেখ। ৪২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন নাঈম শেখ। ৬ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকির হাসান।
ওমানের হয়ে আকিব ইলিয়াস ২টি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি। এর আগেই ৪৬ ওভারেই ১২৬ রানে অলআউট হয়ে পড়ে দলটি। ইনিংসের শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে ওমান। প্রথম ৭.১ ওভারে মাত্র ৯ রান তুলতেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায় দলটি। এরপর আয়ান খান ও কাশ্যপ প্রজাপতি ৪৫ রানের জুটি গড়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন।
তবে রাকিবুল হাসান বোলিংয়ে এসে আয়ানকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দেন। দ্রুতই কাশ্যপের উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদী। ৫৪ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটারের উইকেট হারানোর পর ফের ৪৫ রানের একটি জুটি পায় ওমান। শুভ পাল ও শোয়েব খান সেই জুটি গড়েন। তবে এই জুটি ভাঙার পর আবার উইকেট হারাতে শুরু করে দলটি।
শেষ পর্যন্ত দলীয় রান ১৩০’র কোটা পার হওয়ার আগেই ইনিংস থেমে যায় ওমানের। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে আয়ানের ব্যাট থেকে। শুভ ২৫, শোয়েব ২৩ ও কাশ্যপ প্রজাপতি ২২ রান করেন।
বাংলাদেশের হয়ে পেসার তানজিম হাসান সাকিব ৯ ওভার বল করে ২ মেইডেনসহ মাত্র ১৮ রান খরচায় একাই ৪ উইকেট শিকার করেন। রাকিবুল হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয় ২টি করে উইকেট লাভ করেন। রিপন মণ্ডল ও শেখ মেহেদী ১টি করে উইকেট নেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post