স্পোর্টস ডেস্ক:: ছক্কা হাঁকিয়েও আউট হতে হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। আর এই ঘটনার জেরে মোহামেডানের সাথে ম্যাচ শেষে হাতই মেলাননি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কোনো ক্রিকেটার। এনিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশের ক্রিকেটে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচে ঘটেছে ‘বির্তকিত’ ঘটনা। ম্যাচও যার কারণে বন্ধ রাখতে হয় বেশ কিছু সময়। সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে রনির ১৪১ রানে ভর করে ৩১৮ রান তুলে মোহামেডান। ৩১৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রাইম ব্যাংক থামে ২৮৪ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসের প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটিং চলাকালে ইনিংসের ৩৪তম ওভারে বিতর্কের সূত্রপাত। বাউন্ডারি লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন আবু হায়দার রনি। কিন্তু ডাইভ দিয়ে ওঠার সময় পা লাগে বাউন্ডারি লাইনে। আম্পায়াররা সেটি বুঝতে পারেননি।
ক্যামেরা না থাকায় আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত জানার ফিল্ডার রনির কাছে জানতে চান। রনি জানান, তিনি ক্যাচ ধরেছেন। মুশফিক আউট হয়েছেন। আম্পায়াররা নিয়ম অনুযায়ী ফিল্ডারের কথাকে সত্য মেনে নিয়েই মুশফিকুর রহিমকে আউট দেন।
কিন্তুু বিসিবির লাইভ সম্প্রচারের ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যাচ ধরে হাতে বল থাকা অবস্থায় আবু হায়দার রনির শরীর বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করে। এরপরই সমালোচনা বেড়ে যায় বেশ। এই ঘটনার রেশ ধরে ম্যাচ শেষে তামিমদের দল প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সাথে সৌজন্যতার হাত মেলাননি।
প্রাইম ব্যাংকের প্রতিনিধি হয়ে গণমাধ্যমের সামনে আসা রনি তালুকার ক্যাচটি সঠিক কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘সেটা তো রনিই ভালো জানে। কারণ রনিই ক্যাচটা ধরেছে। রনির ওপরেই পুরোটা নির্ভর করবে। ও যেই সিদ্ধান্তটা দেবে সেটার ওপরেই…কারণ এখানে তো ওইভাবে ক্যামেরা ছিল না।’
ফিল্ডার যেটা বলবেন সেটাই হবে জানিয়ে রনি তালুকদার বলেন, ‘থার্ড আম্পায়ার যদি থাকত, তাহলে সেটা ভালোভাবে দেখতে পারত। এখন এটা খেলোয়াড়দের ওপরেই যায়। সেটা আম্পায়ার জানেন। মাঠে আম্পায়ার ছিল। তারা ভালোই জানেন। বললাম তো, রনি যেটা বলবে সেটাই হবে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post