নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ওয়ানডেতে প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করলেন তাওহিদ হৃদয়। যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জায়গায় দলে ঢুকে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে খেলেছেন ৮৫ বলে ৯২ রানের ঝকঝকে ইনিংস। আটটি চার ও দুই ছক্কার ওই ইনিংস খেলা ম্যাচ সেরাও হয়েছেন।
সেরার পুরষ্কার পাওয়া হৃদয় ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, জাতীয় দলের আসা পর্যন্ত যে কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছেন তা থমকে যেতে পারত শুরুতেই। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের পথে পা বাড়িয়ে প্রতারণার শিকার হন। মায়ের জমানো টাকা দিয়ে রাজধানীর বনশ্রীতে এক ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পরই উধাও সেই একাডেমি।
গ্রামের জমি বন্ধক রেখে হৃদয়কে যে টাকাটা দিয়েছিলেন তাঁর মা, বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে এসে দেখলেন সেখানে কোনো একাডেমির অস্তিত্বই নেই। এক পর্যায়ে ক্রিকেট ছেড়েই দিতে চেয়েছিলেন তিনি। হৃদয় বলেন, ‘অনেক ক্ষতি করেই ওই একাডেমিতে গিয়েছিলাম। একসময় তো ক্রিকেট খেলারই কোনো ইচ্ছে ছিল না। পরিবার থেকেও সেভাবে কোনো সমর্থন ছিল না। আমি যখন মায়ের সঙ্গে জেদ ধরতাম, যতটুকু পারতেন, চেষ্টা করতেন আর কী! এরপর তো খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট খেলি, সেখান থেকে সুজন স্যার (খালেদ মাহমুদ) আমাকে নিয়ে আসেন। উনিই আসলে আমাকে সুযোগ করে দেন।’
হৃদয় জানান, মুশফিকুর রহিমের গল্পও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তিনি বলেন, ‘মুশফিক ভাই… আমি অনেক ছোট ছিলাম ২০০৭ এর একটা কাহিনী। মুশফিক ভাই বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জিতে একটা স্টাম্প পেয়েছিলেন। তখন আমি অনেক ছোট, একদিন স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। একটা প্রোগ্রামে মুশফিক ভাইয়ের কাছে যখন স্টাম্প দেখি তখন থেকেই অনেক অনুপ্রাণিত হই। ওখান থেকেই ইচ্ছে ছিল যদি একদিন খেলতে পারি জাতীয় দলে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০































Discussion about this post