স্পোর্টস ডেস্কঃ এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতল কাতার। শনিবার ফাইনালে জর্দানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে তারা। ঘরের মাঠে ফাইনালে তিন পেনাল্টিতে গোল পায় কাতার। ২২ মিনিটে আকরাম আফিফ গোল করে এগিয়ে দেন ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজকদের। দ্বিতীয়ার্ধে আল নিয়ামতের গোলে সমতা ফেরায় জর্দান। এরপর আরও দুইবার পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। লুসাইল স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের আনন্দে ভাসায় আফিফের তিন পেনাল্টি গোল।
এশিয়ান কাপের ফাইনালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড গড়েছেন আফিফ। শুধু তাই নয়। এবারের আসরের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার দুটিও জিতে নিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে তিনি করেছেন ৮ গোল। প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা জর্ডান তাই রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকছে। অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কাতার। গত আসরের ফাইনালেও তারা একই ব্যবধানে হারিয়েছিল প্রতিযোগিতার সফলতম দল জাপানকে।
২০ মিনিটের সময় জর্ডানের আব্দুল্লাহ নাসিব কাতারের আফিফকে বক্সের পেছনে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন আফিফ। সে যাত্রায় না পারলেও ৩২ মিনিটে জর্ডানকে বাঁচান গোলরক্ষক ইয়াজিদ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল জর্ডান। আলি ওয়ানের আড়াআড়ি ক্রসে মৌসা তামারি প্লেসিং শট নিলে মোহাম্মদ অ্যাদের গায়ে লেগে আটকে যায়। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ঘরের মাঠে খেলা কাতার।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে জর্ডান। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। কিন্তু কাতারের গোলরক্ষক বারশাম ছিলেন দেয়াল হয়ে। ৫৮ মিনিটে এহসান হাদ্দাদকে আটকে দেওয়ার পর মিনিটে ইয়াজান আল আরাবের বুলেট গতির সাইড ভলিও ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। পরের মিনিটে হতাশ হন আলিও। কাতারের ওপর চাপ ধরে রেখে ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরে জর্ডান। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন আল-নাইমাত, এরপর জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
তবে ছয় মিনিট পরেই ফের লুসাইলের আইকনিক স্টেডিয়ামে উপস্থিত কাতারি সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান আফিফ। স্পট কিকে গোল করে কাতারকে ফের এগিয়ে দেন তিনি। বক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এদিন ইনজুরি সময় হিসেবে ১৩ মিনিট দেন রেফারি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক বল পান ফাঁকায় দাঁড়ানো আফিফ। কিন্তু ডি বক্সে তার প্রথম স্পর্ষ একটু জোরাল হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। আগুয়ান গোলরক্ষক ইয়াজিদ বাধা দিতে গিয়ে তাকে ফেলে দেন। অফসাইডের পতাকাও ওঠে। কিন্তু কাতার ভিএআর চেক করার আবেদন করতে থাকে। এরপর ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে দলের জয় নিশ্চিতের পাশাপাশি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আফিফ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post