নিজস্ব প্রতিবেদক:: নবাবকে দুর্ভাগাই বলতে হবে। দলের হয়ে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন। তবুও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলো তার দল। সিলেট ডিএসএ কাপ টি-২০ ক্রিকেটে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আলোচনায় বাসিয়ার ব্যাটসম্যান নবাব। তার করা সেঞ্চুরির দুই ম্যাচের দল হেরেছে। তিন ম্যাচের একটিতেও জেতা হয়নি। টুর্নামেন্টের ফাইনালের রেস থেকে ছিটকে গেছে বাসিয়া। কুশিয়ারার প্রথম জয়ে কপাল পুড়েছে বাসিয়ার। বেরসিক বৃষ্টির কারণে পরিত্যাক্তও হয় তাদের একটি ম্যাচ।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাসিয়া ও কুশিয়ারা। টানা দুই ম্যাচ হারা কুশিয়ারা প্রথম জয়ের জন্য ১৮৩ রান তুলে নুফাতের হাফ সেঞ্চুরিতে। জবাবে ব্যাট করতে নামা বাসিয়া নবাবের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ১৫৭ রান তুলতে সমর্থ হয়। তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পায় কুশিয়ারা। ম্যাচ জিতে ২৬ রানে।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা কুশিয়ারা নুফাতের হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৩ রান তুলে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন নুফাত। ৩৭ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন এক চার ও সাত ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন সাঈদ। তিন ছক্কা ও এক চারে সাজান ২০ বলের ইনিংসটি। পাঁচ বাউন্ডারিতে ১৮ বলে ২৬ রান করেছেন গালিব।
বাসিয়ার হয়ে তুহিন তিনটি উইকেট লাভ করেন।
১৮৪ রানের টার্গেটে খেলতে নামা বাসিয়া কুশিয়ারার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে। দলীয় ৩২ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। ধুঁকতে থাকা বাসিয়াকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেন নবাব। আগের ম্যাচেও তিনি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। কুশিয়ারার বিপক্ষেও শতক হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন। তবে দলের হার এড়াতে পারেননি। খেলেন ৬২ বলে ১০৪ রানের নান্দনিক এক ইনিংস। ১১ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ছিলো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। এছাড়া ১৬ রান করেছেন সুজন। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রানে থামে দলটি।
কুশিয়ারার হয়ে জয় ও সাঈদ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০