নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের দেওয়া ৬৬২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান দিন শেষ করেছিল ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে। সেখান থেকেই আজ আবার শুরু করেছিল দলটি। তবে নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে সফরকারীরা।
ঢাকা টেস্টে ধুঁকছে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। ইতিমধ্যেই হারিয়ে বসেছে ৭ উইকেট। কোনোমতে দলীয় রান একশ ছুঁয়েছে দলটি। চতুর্থ দিনের শুরুতেই তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেনদের পেস দাপট। এতেই কুপোকাত হয়ে উইকেটের পর উইকেট হারিয়ে বসে আছে আফগানরা।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে এদিন সকালে একেবারে খেলার শুরুতেই ৬ রান করা নাসির জামালকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন এবাদত হোসেন। এরপর একে একে আফসর জাজাই, বহির শাহ, রহমত শাহ, করিম জানাতকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান শরিফুল ও তাসকিন।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ রান করা রহমত শাহ উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। খানিকটা আগ্রাসী হতে যাওয়া করিম জানাতকে ১৮ রানের বেশি করতে দেননি তাসকিন। বোল্ডআউট করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান তিনি। আফগানদের দলীয় ৯১ ও ৯৮ রানে দলের দুই তারকাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে একেবারে হাতের মুটোয় ম্যাচ এনে দেন তাসকিন।
এই দুই উইকেটের আগে বহির শাহ’র টেস্ট অভিষেক হয়। মূলত তিনি আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদীর পরিবর্তে দ্বিতীয় ইনিংসে একাদশে সুযোগ পান। হাশমতউল্লাহ আগের দিন ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে তাসকিনের করা তৃতীয় বলে বাউন্সে মাথায় আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। আফগান অধিনায়ক আর খেলার মতো অবস্থায় না থাকায় বহিরকে নামানো হয়। তবে সুযোগ পেয়ে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শরিফুলের বলে স্লিপে তাইজুলের দারুণ এক ক্যাচে আউট হন। এর আগে আফসর জাজাইও ব্যর্থ হন। শরিফুলের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৬ রান করেন মাত্র।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তান দলের সবশেষ সংগ্রহ ২৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান। ৫৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। আমির হামজা ৫ বল খেলে এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ইয়ামিন আহমেদজাই ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত আছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post