স্পোর্টস ডেস্ক:: গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে স্পিনার নাসুম আহমদকে তখনকার প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রহারের ঘটনা আরো একবার আলোচনায় এলো। এবার খবর বেরিয়েছে, হাথুরুসিংহেকে ‘শায়েস্তা’ করতেই ওই ঘটনা মিডিয়ায় ফাঁস করেন তামিম ইকবাল।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে কোচ হাথুরুসিংহের বনিবনা হচ্ছিলো না। তামিম অনেকটা বাধ্য হয়েই অবসরে যান। বিশ্বকাপ চলাকালে নাসুমকে হাথুরুসিংহের আঘাতের ঘটনায় একজন মাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নিকোলাস লি ছাড়া ঘটনা দেখেননি আর কেউ।
নাসুমের মুখ থেকে শুনেন অন্যরা। তামিম ইকবাল এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক ও তখনকার মিডিয়া কমিটির প্রধান এবং ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের জানান। দু’জনেই হাথুরুসিংহের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তদন্ত রিপোর্টে ঘটনাটি ফাঁস করার জন্য এই দু’জনকে দায়ী করা হয়েছে।
সাবেক বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে, জাতীয় দলের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি মিডিয়ায় ফাঁস করেছেন তামিম ইকবাল।একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য ছিলেন মাহবুব আনাম এবং আকরাম খান। তারা কোচ, খেলোয়াড় এবং সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করেন নিজেদের প্রতিবেদন। দলের ব্যর্থতার পাশাপাশি তারা খতিয়ে দেখেন চেন্নাইতে হাতুরাসিংহের বিরুদ্ধে নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগও।’
সিরাজের নেতৃ্ত্বাধীণ তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে ওই ঘটনা সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তামিমের বিরুদ্ধে।নাসুমকে হাতুরাসিংহের মারার ঘটনা ‘ফেরি করার’ অভিযোঘ তুলা হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির তখনকার প্রধান জালাল ইউনুসের বিরুদ্ধেও।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তাকে ‘থাপ্পড়’ মারার অভিযোগের বিষয়ে নাসুমকে ফোন করেছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান এবং তামিম ইকবাল। মিডিয়াতে খবরটি তারাই ফাঁস করেছেন। তারা এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চেয়েছেন, যাতে হেড কোচের চাকরি চলে যায়।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০