স্পোর্টস ডেস্ক:: তিনি ছিলেন বাংলার ক্রিকেটের আশা-ভরসা। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি ছিলো যেনো স্বাভাবিক। সেই তাঁর ব্যাটে রান ছিলো না। ফর্মহীনতায় দল থেকে বাদ পড়েন, একাদশ থেকেও বাদ পড়েন। ফেরার লড়াইটাও যেনো টিকমতো হচ্ছিলো না।
মুমিনুলকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ ছিলো না। ক্যারিয়ারের শেষও দেখে ফেলে ছিলেন অনেকে। সমালোচনায় এক সময় তার মনে হয়েছে, তিনি শেষ। পুরো পৃথিবী একদিকে, তিনি আরেক দিকে। সাগরপাড়ের মুমিনুল হক সৌরভ যে এক সময় বাইশ গজে সৌরভ ছড়িয়ে ছিলেন সেটা যেনো ভুলেই গেছিলেন অনেকে।
সেই সৌরভ আবারো সৌরভ ছড়ালেন। ব্যাট হাতে আফগানদের শাসন করলেন। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে থাকলেন অপরাজিত। এরপরই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন। জানালেন কষ্টের কথা। বললেন, অতীত ছিলো ভয়ঙ্কর। এক সময় মনে হয়েছিলো তিনি শেষ। ফর্মহীনতার প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, ফর্মে ফেরার সুযোগও দেওয়া হয় না তাকে।
মুমিনুল হক বলেন, ‘একটা খেলোয়াড় চার মাস পর টেস্ট খেলতেছে, ওকে একটু সুযোগ দেওয়া হোক, ওইভাবে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু ওই সুযোগটা আপনারা দেন না! চার মাস পরে খেলুক বা এক বছর পর, একটা খেলোয়াড় যখন রানে থাকে না আপনারা কিন্তু ওইভাবে বিচার করেন না।’
এক সময় মনে হয়েছে তিন শেষ জানিয়ে মুমিনুল হক আরো বলেন,, “আমি নিজে এটার (ব্যাটিংয়ে দুঃসময়) মুখোমুখি হয়েছি। এটা ভয়ঙ্কর। যার ভেতর দিয়ে যায়, সে-ই শুধু বোঝে। আমার সময় মনে হয়েছে, পুরো পৃথিবী একদিকে আর আমি আরেকদিকে পুরো শেষ। যার হয় সে ছাড়া কেউ বোঝে না, এর মধ্যে ঢুকতেও পারবেন না।”
তবে ‘কঠিন’ নিজের কাজটা টিকমতো করেছেন জানিয়ে মুমিনুল হক বলেন, ‘এমন সময়ে শুধু একটা কাজই করা যায়। নিজের প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখা। বাকিটা আল্লাহ যখন দেওয়ার, তখন রান দেবেন। এর বাইরে যত কিছুই হোক, লাভ হবে না।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post