স্পোর্টস ডেস্ক:: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ ভাগ করেছে। বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ দায়িত্ব নিয়েই বলে ছিলেন ক্রিকেট বোর্ড বিপিএল থেকে পাওয়া লভ্যাংশ ভাগ করে দেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের ফ্র্র্যাঞ্চাইজিরা দীর্ঘ দিন থেকেই টিকিট বিক্রি থেকে হওয়া লভ্যাংশের ভাগ চেয়ে আসছিলেন। তবে সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দাবিকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। ফারুক আহমদই জানিয়ে ছিলেন টিকিট বিক্রির লভ্যাংস তিনি ভাগ করে দেবেন।
তবে নানা পট পরিবর্তনে ফারুক আহমদকে বিদায় নিতে হয়েছে ক্রিকেট বোর্ড থেকে। নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিপিএলের টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ ভাগ করে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। চ্যাম্পিয়নল ফরচুন বরিশাল টিকেট বিক্রির লভ্যাংশের পুরো ৫৫ লাখ টাকা পাচ্ছে।
খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে আলোচিত দুর্বার রাজশাহীকে বিসিবি তাদের লভ্যাংশ দেবে না। কারণ বিসিবি নানা ইস্যুতে বিপুল টাকা পায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে। ফলে টিকিট বিক্রির লভ্যাংশের টাকা মাইনাস করার পরও বোর্ডের অনেক পাওনা থেকে যায়। প্রাইজমানি ও টিকিটের লভ্যাংশ থেকে টুর্নামেন্টের রানার-আপ দল চিটাগং কিংসের পাওয়ার কথা ছিলো ২ কোটি ৫ লাখ টাকা। কিন্তু হোটেল বিল ১৫ লাখ টাকা ও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাবদ প্রথম দফায় ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিসিবিকে পরিশোধ করতে হয়েছে তাদের।
এর বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ১৫ লাখ টাকা ও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাবদ ৫২ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা পাওনা বাকী আছে বন্দরনগরীর দলটির। বিসিবি সেসব টাকা রেখে ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা দিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে। রংপুর রাইডার্স পাবে ৪৫ লাখ টাকা। তবে তাদের পাওয়ার কথা ছিলো মোট ৯৫ লাখ টাকা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ ৫০ লাখ টাকা বিসিবি পাওনা ছিলো, তাই তারা পাবে ৪৫ লাখ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে টাকা পাবে বিসিবি। টিকেট বিক্রির ৪৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ ১৫ লাখ, পারিশ্রমিক বাবদ ২৯ লাখ ৫০ হাজার পরিশোধ করেনি সিলেট। বিসিবির পাওয়ান চায়ে চায়ের নগরের ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে।
খুলনা টাইগার্সের পাওয়ার কথা ছিলো ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ ২৫ লাখ ও পারিশ্রমিকের ৪৮ লাখ টাকা এখনও বকেয়া। তাই এই টাকা বাদ দিয়ে খুলনা টাইগার্স পেয়েছে ৪২ লাখ টাকা। ঢাকা ক্যাপিটালসের দেনা-পাওয়ান কোনোটাই নেই। পারিশ্রমিকের বকেয়া আছে ৪৫ লাখ টাকা। আর টিকিটের লভ্যাংশ থেকে তাদের পাওয়ার কথা ছিলো ৪৫ লাখ টাকা। তাই তারা বোর্ডের কাছে কোনো টাকা পাবে না।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০