স্পোর্টস ডেস্ক:: ফুটবল প্রেমীদের কাছে গত রাত আর আজ ভোরটা বড়ই বিষাদময়। ফুটবলের দুই নক্ষত্র লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে ‘মলিন’ মুখে বের হয়েছেন মাঠ থেকে। দু’জনের দলই নিজেদের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে।
শুরুটা হলো সিআর সেভেনের ভক্তদের মন খারাপের মধ্য দিয়ে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে রোনালদোর ক্লাব আল নাসর। গত রাতে জাপানের ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেল তাদের ৩-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠেছে।
রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মাঠে দেখা গেছে আবেগাপ্লুত রোনালদোকে। ২০২২ সালে সৌদীর ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে এখনো বড় কোনো শিরোপা জেতাতে পারেননি। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পর অধিনায়কের আর্মব্যান্ডটা খুলতে খুলতে রোনালদো যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন তাঁর দিকে তাঁকানো যেনো বড্ড কষ্টের ছিলো। অসহায় চেহারা ফুটে উঠছিলো স্পষ্ট।
রাতের এই কষ্ট ভুলতে না ভুলতেই ফুটবল প্রেমীরা আরো একবার কষ্টে ডুবেছেন ভোরে। রোনালদোর পর এবার মেসির বিদায়। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ঘরের মাঠেই হেরেছে লিও’র দল ইন্টার মিয়ামি। কনকাকাফের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় হয়ে গেছেন মেসি। আগের লেগে ২-০ গোলে হারলেও ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে ছিল। ফিরতি লেগটা যে ছিল ঘরের মাঠে।
কানাডার ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের বিপক্ষে নিজেদের মাঠেও পারলো না লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি। হেরে গেলো ৩-১ ব্যবধানে। যে হারে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় হয়ে গেলো মেসিদের। ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ইতিহাস গড়ে নাম লেখালো ফাইনালে।
চেজ স্টেডিয়ামে রেফাির শেষ বাঁশি বাজার পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের চোখে মুখে ফুটে হতাশার ছাপ। মাঠেই যেনো ভাবলেশহীন হয়ে পড়েন তিনি। আবেগাপ্লুত হয়ে মাঠ ছাড়েন। লিওনেল মেসির এমন অসহায় দৃশ্য সমর্থকদের কাছেও সমান কষ্টের। যতটা কষ্ট তিনি নিজে পেয়েছেন বিদায়ের পর।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০