স্পোর্টস ডেস্ক:: সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে কড়া নিরাপত্তা বাফুফের। এমনকি দর্শকদের মোবাইল ফোন না আনতেও অনুরোধ জানিয়েছে ফেডারেশন। নিরাপত্তা ইস্যুতে ফেডারেশন কঠোর। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অর্ধ কোটি টাকা দামের বোম্ব ডিসপোজাল রোবটও থাকবে মাঠে। যার কাজ হবে ‘বিস্ফোরক’ জাতীয় বস্তুু পেলে তা সনাক্ত করা এবং নিষ্ক্রিয় করা। ডিএমপির ডগ স্কোয়াডতো থাকছেই। পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা টিম সোয়াটও থাকবে জাতীয় স্টেডিয়ামের নিরাপত্তায়।
বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটি দেখতে দর্শকদের মাঠে প্রবেশ করতে হবে ৩ টা থেকে ৫টার মধ্যেই। ৫টার পরই মাঠে প্রবেশের সবগুলো পথ বন্ধ করে দেবে পুলিশ। দর্শকরা কোনো কিছু নিয়েই মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি তাদের মোবাইল ফোন না আনতেও অনুরোধ করেছেন বাফুফের কর্মকর্তারা। জানানো হয়েছে, কোনো দর্শক মাঠে ঢুকলে তাকে জেলে যেতেই হবে। ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে হামজার সাথে ছবি তূলতে একজন সমর্থক মাঠে প্রবেশ করে বসেন। যদিও বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও হামজার অনুরোধে তাকে পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে এমন কাণ্ড করলে নিশ্চিত জেলে যেতে হবে। ছাড়ের কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের শেষ নেই। ভুটানের বিপক্ষে দর্শকদের জোয়ার দেখেছেন ফুটবলাররা। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া সিঙ্গাপুর ম্যাচেও দর্শকদের জন্য জয় চান। জানিয়েছেন দেশের জন্য পারফর্ম করতে চান তারা। দর্শক চাপ থাকবেই, সেটা নিয়েই তারা জয় উৎসব করতে চান।
সমর্থকদের জন্য জিতেত চান জানিয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘গ্যালারিতে দর্শক ১০ জন থাক আর ২০ হাজার থাক- চাপ একই। শেষ কথা হলো আমাদের পারফর্ম করতে হবে। তো, কত মানুষ ম্যাচ দেখতে এলো, সেটা কোনো বিষয় নয়। দিনশেষে আমাদের জিততে হবে। দেশের জন্য আমাদের পারফর্ম করতে হবে। অবশ্যই আমরা দর্শকের উপস্থিতি অনুভব করব, কিন্তু আমাদের জিততে হবে, পারফর্ম করতে হবে।’
প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। জামাল ভুঁইয়া বলছেন, এটা চাপ নয়। তিনি বলেন , ‘প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালী হোক, আমরা আত্মবিশ্বাসী। ঘরের মাঠে, চেনা দর্শক। এটাকে চাপ মনে না করে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখবো।’
দেশের মানুষ এবং নিজেদের পরিবারের জন্য ভালো খেলতে চান জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। বিশেষ করে বাছাইয়ের সবশেষ ম্যাচের পর এ প্রত্যাশা বেড়েই চলছে। দর্শকদের মতো আমাদের প্রত্যাশাও যে অনেক উঁচুতে! আমি মনে করি, দেশের মানুষদের, সমর্থকদের, নিজেদের এবং পরিবারকেও দেখানোর মুহূর্ত মঙ্গলবারের ম্যাচ।’
জয়ের সমার্থ্য আছে জানিয়ে জামাল বলে, ‘তাদের (সিঙ্গাপুরকে) গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের। আমরা দেখেছি, সিঙ্গাপুর বল পজেশনে খুবই ভালো। এ জায়গাটায় তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে হবে আমাদের। সিঙ্গাপুর বিল্ড-আপেও খুবই ভালো। সেটপিসে তাদের আক্রমণভাগ ভালো। সেখানেও আমরা তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবো, তাদের ধসিয়ে দিতে পারবো।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০