স্পোর্টস ডেস্ক:: সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিলেন রেফারিও। বারবার তার উপর অসন্তুুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা গেছে হামজা চৌধুরী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফদের। শেষ মূহুর্তেও বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরতে পারতো। ম্যাচের ৯২তম মিনিট নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বাংলাদেশকে ‘বঞ্চিত’ করেছেন রেফারি।
রেফারির এমন বাজে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন দর্শকেরা। ২-১ গোলে ম্যাচ হারের পর রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ সমালোচান হচ্ছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এএফসির কাছে নালিশ দেবে রেফারির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের শেষ দিকে। ম্যাচের ৯২ মিনিটে সিঙ্গাপুরের একজন খেলোয়াড় বাংলাদেশের ফাহিমকে ফাউল করেন ডি বক্সের ভেতরে। তবে রেফারি কর্নার দিয়ে বসেন। এসময় বাংলাদেশ দলের ডাগ আউটে কোচিং স্টাফের সদস্যদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। গ্যালারিও হয়ে উঠে উত্তাল। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বিপদজনক সীমানায় বাংলাদেশের ফাহিম ফাউলের শিকার হন। যা পেনাল্টিই ছিলো। রেফারি পেনাল্টি দিলে ম্যাচের ফলাফল হয়তো ভিন্নও হতে পারতো।
২-১ গোলে ব্যবধান থাকা ম্যাচে পেনাল্টি পেলে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরতে পারতো। রেফারি শেষ সময়ে পেনাল্টি দিলে হয়তো ফলাফলটা ভিন্ন হতে পারতো। রেফারির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল দলের প্রধান কোচ কাবরেরাকে। বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা জানিয়েছেন, এটি পেনাল্টি ছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, ‘ফাহিমের ওপর যে ফাউলটা হয়েছে, পেনাল্টিটা আমি দেখিনি। তবে আমার মনে হচ্ছে এটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। তখন আমরা পুরোদমে আক্রমণে আছি। ফুল প্রেশারে খেলছিলাম, প্রথম গোলটা করার পর। যদি পেনাল্টিটা হতো, ২-২ হতো। আমি যদি ভুল না করে থাকি, ম্যাচটা অন্তত ২-২ শেষ করার সুযোগ আসত। তবে কেন পেনাল্টি হয়নি আমি জানি না।’
এর আগে বদলী খেলোয়াড় নামানো নিয়েও রেফারির সাথে তর্কে জড়ায় বাংলাদেশ। এসব কারণে রেফারির বিরুদ্ধে এএফসিতে বাফুফে অভিযোগ দেবে। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন, অভিযোগ দেবে ফেডারেশন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০