স্পোর্টস ডেস্কঃ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তারকাখচিত দল নিয়েও সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বসে টাইগাররা। যদিও সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রস্তুতির সিরিজে মানরক্ষা হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। শনিবার ১০ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
হিউস্টনে আজ আগে ব্যাট করা যুক্তরাষ্ট্র মুস্তাফিজুর রহমানের তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে তানজিদ তামিমের অর্ধশতকে ৫০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালেও প্রথম টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা ঘুচাতে পারেনি শান্তর দল। এই সিরিজ দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যার আড়ালে মূল লক্ষ্যই ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। কিন্তু দুই ম্যাচে বিবর্ণ পারফরম্যান্সে সিরিজ হাতছাড়া তো হয়েছেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসে লাগে বড় ধাক্কা। আজ শেষ ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপের আগে হারানো আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও ফিরিয়া আনতে পেরেছে টাইগাররা।
শনিবার রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৮ রান। প্রথম ওভারে তানজিদ তামিমের দুই চার, আর তৃতীয় ওভারে সৌম্য সরকারের ১ চার ও ১ ছয়। বাংলাদেশ ইনিংসের উড়ন্ত সূচনার জন্য এটুকুই যেন ছিল যথেষ্ট। আগের দুই ম্যাচে ওপেনাররা করেছেন চরম হতাশ। আজ সেই ক্ষতে হালকা একটা প্রলেপ দিয়ে গেলেন দুজনে। ১১তম ওভারে নিজের ফিফটি করেন তামিম। ৫ চার আর ২ ছয়ে সাজান নিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটির ইনিংস। পঞ্চাশের পরেও অবশ্য থামেননি। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। জুনিয়র তামিমের রান ৫৮৷ আর চার মেরে জয় এনে দেয়া সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। তাদের কল্যাণে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। এর আগে ৯ উইকেটের জয় ছিল দুটি।
এদিকে ৫০ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ। বল বাকি রেখে জয়ের হিসাবেও বাংলাদেশের রেকর্ড এটি। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৮ বল বাকি থাকতে জয় পেয়েছিল তারা। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মঞ্চটা গড়ে দেন মুস্তাফিজুর। এই সংস্করণে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে মাত্র ১০ রানে ৬ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার। সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড গড়া রিশাদ ৪ ওভারে খরচ করেন মোটে ৭ রান। দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন মুস্তাফিজ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post