স্পোর্টস ডেস্ক:: ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে ভারতের চাহিদা মানেই পূর্ণতা। এবার ব্যতিক্রম। ভারতের প্রস্তাবকে সরাসরি প্রত্যাখান করে আইসিসি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজনের স্বত্ব চেয়ে ছিলো। অর্থাৎ ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগামি তিন আসরের ফাইনাল নিজেদের দেশে আয়োজন করতে চায়।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু থেকেই ফাইনাল আয়োজন করে আসছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি। তিন আসরের স্বত্ব পেয়েছিলো ইংল্যান্ড। যা আজ শনিবার শেষ হয়েছে। ২০২১ সালে সাউদাম্পটন, ২০২৩ সালে ওভালে এবং সবশেষ এবারের আসরের ফাইনাল হয়েছে ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডসে।
আগামি তিন আসরের ফাইনালও আইসিসি ইংল্যান্ডকে দিচ্ছে। ভারত চিঠি দিয়ে আইসিসিকে অনুরোধ করে ছিলো আগামি তিন আসরের ফাইনাল আয়োজনের স্বত্ব যেনো তাদেরকে দেওয়া হয়। তবে তাদের দাবি মানেনি ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী তিন আসরের ফাইনাল আয়োজনের স্বত্বও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকেই (ইসিবি) দিতে চলেছে আইসিসি।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে শিরোপা জিতেছিলো নিউজিল্যান্ড, দ্বিতীয় আসরে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় আসরে পূর্ণতা পেয়েছে সাউথ আফ্রিকা। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক কোনো শিরোপা জিতেছে দলটি। লর্ডসে শনিবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। কেইন উইলিয়ামসন, প্যাট কামিন্সের পর তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে আজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক গদা (মেস) হাতে তুলেছেন টেম্বা বাভুমা।
টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রথম তিন আসরের মতো আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী তিন আসরের ফাইনালও ইংল্যান্ডেই হবে। আইসিসি ইতিমধ্যে বিষয়টি ইসিবিকে জানিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজনে ভারতের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও পরবর্তী তিন ফাইনাল আয়োজনের বিষয়ে ইংলিশ ক্রিকেট সম্মতির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।’
ইংল্যান্ডকে ফাইনাল আয়োজন করতে দেওয়ার তিনটি কারণ জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। তারা বলছে, নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে ইংল্যান্ডের গ্রহণযোগ্যতা আছে, ক্রিকেটখেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে টাইমজোনও অপেক্ষাকৃত অনুকূল। এর বাইরে আছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সময়। জুনে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া খেলা শেষ করার জন্য তুলনামূলক ভালো। এ ছাড়া দর্শক–উপস্থিতিও একটি বড় কারণ।
এর বাইরে কারণ আছে আরেকটি। ভারত-পাকিস্তান বিরোধ। যদি পাকিস্তান ফাইনালে উঠে তাহলে তারা ভারতে খেলতে যাবে না। সেক্ষেত্রে নতুন করে জঠীলতায় পড়তে হবে আইসিসিকে। দুই দেশ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজতো খেলে না। নতুন করে বিবাদ আরো বেড়েছে। পহেগ্রামে সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। যদিও তার আগ থেকেই প্রতিবেশি এই দুই দেশ আইসিসির বৈশ্বিক আসরেও একে অপরের দেশে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০