নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আকাঙ্খিত লড়াই রোববার। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। নিশ্চিতভাবেই বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেট সমর্থকের নজর থাকবে সেখানে।
তবে প্রত্যাশা মেটাতে পারবে তো সেই ম্যাচ, এমন প্রশ্নই এখন সর্বত্র। কেননা বিশ্বের সর্বপ্রথম অস্থায়ী ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানানো হয়েছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। নিউ ইয়র্কের এই স্টেডিয়ামে একইসাথে ড্রপ-ইন পিচও ব্যবহার করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে বানানো পিচ এনে বসানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি স্টেডিয়ামে সেই পিচ দিয়েই খেলা হচ্ছে।
কিন্তু, এখন সেসব গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইসিসির জন্য। স্টেডিয়াম দেখতে দৃষ্টিনন্দন হলেও, ড্রপ-ইন পিচে রান হচ্ছে না একদমই। আউটফিল্ডও স্লো, যাচ্ছেতাই অবস্থা! বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি ম্যাচের মধ্যে ৮টি-ই হবে নিউ ইয়র্কের। ইতিমধ্যেই সেখানে হয়ে গেছে ৪টি ম্যাচ। তবে বড় রানের দেখা মিলছে না। প্রথম দুই ম্যাচে কোনো দলই একশ রানের কোটা পার করতে পারেনি। অথচ সেই ম্যাচগুলোতে খেলেছিল শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, আয়ারল্যান্ডের মতো দল।
পরের দুই ম্যাচে একশ পার হলেও, বড় রান হয়নি। তৃতীয় ম্যাচে কানাডা সর্বোচ্চ ১৩৭ রান করেছে। জবাবে সেই ম্যাচেি আয়ারল্যান্ডের ১২৫, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে নিউ ইয়র্কের চতুর্থ ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ২০ ওভার ব্যাট করেও থেমেছে ১০৩ রানে। জবাবে সেই রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার গলগর্দম অবস্থা! ১৯তম ওভারের এক বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে কোনোমতে জয়ের দেখা প্রায় প্রোটিয়ারা। ডেভিড মিলারের ফিফটি রক্ষা করে দলটিকে।
এমন অবস্থাতেই সেই ড্রপ-ইন পিচের মাঠ নিউ ইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। এমনকি দুই দলের কোহলি-বাবরদের লড়াইয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। দুই হাইভোল্টেজ দলের লড়াইয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী রান হবে, রোমাঞ্চ-উত্তেজনা ছড়াবে এমনটাই স্বাভাবিক! যার জন্য হাজার হাজার ডলার খরচ করে দর্শকরা টিকিট কিনে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে গিয়ে ম্যাচটি দেখার অপেক্ষায় আছেন। এমন ম্যাচ শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা যাবে কি-না, সেই শঙ্কা জেগে বসেছে। ঘাটের টাকা গচ্চা যেতে দেখলে, দর্শকরা আইসিসিকে ছেড়ে কথা বলবে না, সেটাও স্বাভাবিক।
যদিও আইসিসি ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে নিউ ইয়র্কের ড্রপ-ইন পিচ প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করছে না। এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, নিজেদের পিচ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ ও করণীয় ঠিক করার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গেছে, বদলে ফেলা হচ্ছে মাঠের পিচ। যদিও রাতারাতি কতটুকু সম্ভব তা, সেটা নিয়ে সংশয় তো আছেই। এখন তাই সময়ই বলে দেবে, কী অপেক্ষা করছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভাগ্যে!
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post