স্পোর্টস ডেস্কঃ গত শনিবার হংকং একাদশের বিপক্ষে খেলে ইন্টার মায়ামি। লিওনেল মেসিকে দেখতে সেদিন কানায় কানায় পূর্ণ ছিল হংকং স্টেডিয়ামের গ্যালারি। বিক্রি হয়ে গিয়েছিল সব টিকেট। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে ওইদিন মাঠে নামেননি মেসি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান সমর্থকরা, অর্থ ফেরত চেয়ে শ্লোগান দেন তারা। দুয়ো দেন মায়ামি ও দলের মালিকদের একজন ডেভিড বেকহ্যামকে। পরে ম্যাচের আয়োজকদের কাছে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের না খেলার ব্যাখ্যা দাবি করে দেশটির সরকার। মেসি নিজে পরে হংকংয়ে খেলতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন।
এদিকে গতকাল টোকিওতে স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে ভিসেল কোবে ম্যাচের ৬০ মিনিটে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি। ম্যাচের বাকি সময়ে নিজের ঝলকও দেখান। আক্রমণ তৈরির পাশাপাশি গিয়েছিলেন গোলের কাছাকাছিও। তবে শেষ পর্যন্ত মেসির কাছ থেকে গোল দেখার সৌভাগ্য হয়নি দর্শকদের। জাপান ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-৩ গোলে জেতে ভিসেল কোবে। মেসি অবশ্য টাইব্রেকারে নিজে কোনো শট নেননি। এর আগে ৭৯ মিনিটে গোলরক্ষক একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। এরপর আর্জেন্টাইন তারকার ফিরতি শট গোললাইনের কাছাকাছি জায়গা থেকে ফিরিয়ে দেন ভিসেল কোবে ডিফেন্ডার ইউকি হোন্ডা।
ম্যাচের বাকি সময়ে চেষ্টা করেও দুই দল কোনো গোল আদায় করতে পারেনি। গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। এরপর টাইব্রেকারে বাজিমাত করে স্বাগতিকরা। এদিকে মেসিকে জাপানে খেলতে দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছেন হংকংয়ের সমর্থকরা। দেশটির ক্রীড়া আইনজীবি কেনেথ ফক এই ঘটনাকে বলছেন, ‘হংকংয়ের সমর্থকদের জন্য কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা।’ হংকং সরকারের সিনিয়র উপদেষ্টা রেজিনা আইপি সামাজিকমাধ্যমে লেখেন, ‘ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে হংকংকে বঞ্চিত করায় মেসি, ইন্টার মায়ামি ও তাদের পেছনের কালো হাতকে ঘৃণা করে হংকংয়ের মানুষ।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post