স্পোর্টস ডেস্ক:: গল টেস্টের প্রথম দিন সকালে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। যদিও চতুর্থ উইকেটে শান্ত-মুশফিকের জুটিতে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে লঙ্কান ‘রহস্যময়ী’ স্পিনার থারিন্দু রথনায়েকে। যিনি দুই হাতেই বল করতে পারেন। ডান হাতে বল করছেন, আবার বাঁহাতেও বল করছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষেই বোলিং দুই হাত ব্যবহার করেছেন লঙ্কান এই স্পিনার। ডান হাতে বোলিং শুরু করলেও কিছু সময় পর ওভারের মধ্যখানেই বাঁ হাতেও বোলিং করেন। ১৫.৫ ওভার ডান হাতে অফ স্পিন করার পরই বাঁ হাতে বল করা শুরু করেন তিনি। কিন্তুু কেন এমন রহস্যময় বোলিং করেছেন, ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন সেই ব্যাখা। মূলত ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের ধরণ দেখেই বোলিংয়ের পরিকল্পনা করেন তিনি।
থারিন্দু দুই হাতে বল করা নিয়ে বলেন, ‘ম্যাচের আগে আমাদের পরিকল্পনায় থাকে, কোন ব্যাটার কোন ধরনের বল ভালো খেলে এবং কোন সাইডে বেশি মারতে চায়। আমি সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করি, ওদের দুর্বলতা খুঁজে বের করি এবং হাত পরিবর্তন করি যেন সেটা কাজে লাগে।’
লঙ্কান এই স্পিনার আরো বলেন, ‘আমি মনে করেছি, ব্যাটারের দিকে ঢুকে যাওয়া বল খেলাটা ওদের জন্য বেশি কঠিন। কারণ এই পিচটা ব্যাটারদের অনুকূলে। ডান হাতে অফস্পিন করলে বিশেষ করে ডানহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে লাল বলে খেলা সহজ নয়। আমি যখন অফস্পিন করি, তখন ফিল্ড সেট করতেও আমার কাছে বেশি অপশন থাকে। বাঁ হাতে স্পিন করলে উইকেট আমাদের মতো করে আচরণ করছে না, ওরা সহজে গ্যাপ বের করে মারতে পারে, স্কোর করার সুযোগ বেশি পায়।’
গল টেস্টের শুরুতে যদিও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন থারিন্দু। টানা দুই বলে সাদমান-মুমিনুলকে আউট করেন তিনি। অবশ্য পরবর্তীতে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। দুই হাতে বোলিং করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না আমি কোন হাতে বেশি উইকেট নিয়েছি। আমি কখনো ঠিকভাবে দেখেও দেখিনি। আমি দুই হাত দিয়েই প্রচুর বল করেছি। যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শুরু করেছিলাম, তখন অনেক বেশি বল করতাম বাঁ হাতে। কিন্তু কয়েক বছর পর সেটা হয়ে যায় প্রায় ৬০ শতাংশ ডান হাতে আর ৪০ শতাংশ বাঁ হাতে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০