নিজস্ব প্রতিবেদক:: স্বীকৃত ব্যাটার লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, তানজীদ তামিম, জাকের আলী অনীক, শামীম হোসেনরা পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না। তাদের যাওয়া-আসার মিছিলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। হারে সিরিজও। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে নয় নম্বরে নেমেও পাকিস্তানী বোলারদের শাসন করেছেন পেসার তানজীম হাসান সাকিব।
ব্যাটসম্যানরা যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, সাকিব সেখানে সফল হয়েছেন। একের পর এক বাউন্ডারিতে পাকিস্তানী বোলারদের শাসন করেছেন। পাঁচ ছক্কা ও এক চারে ৫০ রান করেছেন। হাফ সেঞ্চুরির পর তিনি আউট হলেই বাংলাদেশ গুটিয়ে যায়। ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছেন এই পেসার।
এই পেসারের হাফ সেঞ্চুরির পরও সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে লিটন দাসের দলকে ৫৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচে হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। লাহোরে আগে ব্যাট করা পাকিস্তান জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২০১ রান তুলেছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এক ওভার হাতে রেখে ১৪৪ রানে গুটিয়ে গেছে।
টি-২০ সিরিজ জেতার জন্য বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকরা আগে ব্যাট করে ২০১ রান তুলেছে। সিরিজ বাঁচাতে হলে লিটন দাসের দলকে ২০২ রান করতে হবে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা পাকিস্তান হাসান নেওয়াজ ও ফারহানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করেছে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা দলটি চ্যালেঞ্জিং পূঁজি পেয়েছে। টাইগার বোলাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুতে উইকেট হারালেও পরক্ষণেই ঘুরে দাঁড়ায়। ১২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে সিয়াম আয়ুবের রানআউটে। ৪ বলে ৪ রান করে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন এই ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ১০৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ হারিস ও শাহিবাজাদা ফারহান। ১১তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১১৫ রানে হারিসের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। চার চার ও দুই ছক্কায় ২৫ বলে ৪১ রান করেন তিনে নামা এই ব্যাটার।
হারিসের বিদায়ের ওপেনার ফারহানও বিদায় নেন। তবে তার আগেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ছয় চার ও চার ছক্কায় ৪১ বলে ৭৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। তার বিদায়ের পর আজহা সালমান ও হাসান নেওয়াজ চতুর্থ উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের সংগ্রহকে দুইশোর ওপারে নিয়ে যান। দুই চার ও তিন ছক্কায় ২৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১২ বলে ১৯ রান করেন অধিনায়ক সালমান আজহা। ৬ উইকেটে ২০১ রানে থামে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ও তানজীম সাকিব ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
২০২ রানের লক্ষ্য খেলতে নামা বাংলাদেশ দারুণ শুরু করে। তিন ওভারে বিনা উইকেটে ৩৮ রান তুলে ফেলে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে পারভেজ ইমনের বিদায়ের পর পতনের শুরু বাংলাদেশের। ৭ বলে ৮ রান করেন এই ওপেনার। তার বিদায়ের পর দুর্দান্ত শুরু করা তানজীদ হাসান তামিমও ফিরেন দ্রুত। পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ১৯ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। এরপরই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংলাইনআপ।
টাইগার ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিলে সিরিজ হার অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। ৬ রান করেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫ রান আসে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। জাকের আলী অনীক খুলতে পারেননি রানের খাতা। ৭ রান করেছেন শামীম হোসেন। ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতার দিনে নয় নম্বরে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করেন তানজীম হাসান সাকিব। এই পেসার পাঁচ ছক্কা ও এক চারে ৩১ বলে ৫০ রান করে সাজ ঘরে ফিরলে বাংলাদেশ ১৯ ওভারে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায়।
পাকিস্তানের হয়ে আবরার আহমদ ৩টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০