নিজস্ব প্রতিবেদক:: সকালের দারুণ শুরুটা ধরে রাখতে পারলো না বাংলাদেশ। সফরকারী উইন্ডিজরা দ্রুত দুই উইকেট হারালেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নাসুম-শরিফুলদের নির্বিষ বোলিংয়ে প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ৬ উইকেটে ৩২০ রানে।
চার হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কাঁধে বড় রানের বোঝা যে চাপাচ্ছে উইন্ডিজ ‘এ’ দল তার আভাস মিলছে প্রথম দিনের খেলা শেষেই। তেজনারায়ণ চন্দরপল, জশুয়া ডি সিলভা, অ্যালিক স্টিভেনরা হাফ সেঞ্চুরি করে ফিরে গেলেও সফরকারীদের আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান রেম্যান রেফিয়ার দিন শেষে অপরাজিতই আছেন।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা টাইগাররা দ্রুতই তুলে নিয়েছে দুই উইকেট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই শরিফুল ফিরিয়ে দেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার ক্রিক ম্যাকেঞ্জিকে। দলের রানের খাতা খুলার আগেই শুন্য রানে সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার।
শরিফুলের পরপরই উইকেটে আঘাত হানেন তরুণ পেসার মুশফিক হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে তিনি ফিরিয়ে দেন জ্যাচএম ম্যাককাস্কিকে। দলীয় ২ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা। তিনে নামা এই ব্যাটার ৬ বলে এক রান তুলেই প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন।
দ্রুত দুই উইকেট পতনের পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অ্যালিক স্টিভেন। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে তাকে থামান নাসুম আহমদ। দলীয় ৮৩ রানে তিন উইকেট হারায় উইন্ডিজরা। শুরু থেকেই এক প্রান্ত আগলে রেখা ওপেনার তেজনারায়ণ চন্দরপল ও অধিনায়ক জশুয়া ডি সিলভার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। দু’জনে মিলে চতুর্থ উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়েন।
ইনিংসের ৫২তম ওভারের প্রথম বলে জশুয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাসুম আহমদ। দলীয় ২১৫ রানে সাজঘরে ফেরার আগে উইন্ডিজ অধিনায়ক ৮২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। ৯৪ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ১২ চার ও ২ ছক্কায়।
এরপরই ফিরেন আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান তেজনারায়ণ চন্দরপল। ১৬০ বলে ৮৩ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। নয় চার ও এক ছক্কা হাঁকিয়ে থামেন তিনি। দিন শেষে ৫৬ রানে আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান রেম্যান রেফিয়ার ও ২২ রানে কেভিন অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম ৩টি ও মুশফিক হাসান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post