স্পোর্টস ডেস্কধ:: ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের কারণে এক সপ্তাহ পিছিয়েছে আইপিএল। স্থগিত আইপিএল শুরু হলে বিপাকে পড়বে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির ৮জন সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটারদে প্লে-অফের আগেই ফিরে যেতে হবে নিজ দেশে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য দল ঘোষনা করেছে। অজিদের বিপক্ষে ফাইনাল স্কোয়াডে আছেন আইপিএলে খেলা আট ক্রিকেটারকে। তাদেরকে পূর্ণ নির্ধারিত এনওসি অনুযায়ী ২৫ মে’র মধ্যেই দেশে ফিরতে হবে। বিশ্রাম নিয়ে ৩০ মে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার জন্য তাদেরকে যুক্তরাজ্যে যেতে হবে।
পূর্বে সূচিতে স্বাভাবিকভাবে আইপিএল চলতে থাকলে ২৫ মে ফাইনালের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে পাকিস্তানের হামলার মুখে আইপিএল স্থগিত হয়ে যায়। যা পুনরায় শুরু হবে ১৭ মে থেকে। ফাইনাল ৩ জুন। ৯ দিন বিরতি পড়েছে আইপিএলে। তাতেই বেঁধেছে বিপত্তি।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) ক্রিকেটারদের ছাড়পত্ত (এনওসি) দিয়েছে আগের নির্ধারিত ২৫ মে (স্বাভাবিক সূচিতে যেদিন ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল) পর্যন্ত। এই সময় সীমা বৃদ্ধি করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা আশা করছে নির্ধারিত সময়েই ক্রিকেটাররা ফিরে যাবেন। ফলে নতুন সূচিতে হওয়া আইপিএলের প্লে-অফের আগেই ফিরতে হবে প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের।
আইপিএলে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা হলেন- কাগিসো রাবাদা (গুজরাট টাইটানস), লুঙ্গি এনগিদি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু), ট্রিস্টান স্টাবস (দিল্লি ক্যাপিটালস), এইডেন মার্করাম (লখনৌ সুপার জায়ান্টস), রায়ান রিকেলটন, করবিন বোস (উভয়ই মুম্বাই ইন্ডিয়ানস), মার্কো জানসেন (পাঞ্জাব কিংস) এবং উইয়ান মুল্ডার (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) ।
ক্রিকেট-বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের গুরুত্ব বিবেচনা করে সিএসএ আশা করছে, বিসিসিআই তাদের সিদ্ধান্ত বুঝবে এবং ৩ জুন পর্যন্ত এনওসি বাড়ানোর অনুমতি না দিলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে। তবে সিএসএ শঙ্কিত, এই সিদ্ধান্ত দুই বোর্ডের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০